নিউজ ব্যুরো: মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে ‘নন্দলাল’ বলে আক্রমণ শানাতে শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই এবার তাঁকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সবজির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ফেসবুকে মমতাকে পাল্টা ‘নন্দলাল’ কটাক্ষ করলেন তিনি। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদীজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?’ তার ওই পোস্ট ঘিরেই চলছে চর্চা।

শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘এক মাস আগের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাট-বাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। আনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারেরও নাগালের বাইরে। একথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সবজির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।’

বিরোধী দলনেতার দাবি, জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সবজির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে গিয়েছে। প্রতি কেজি টমেটোর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লংকার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালংয়ের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকার মতো।শুভেন্দুর সংযোজন, রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজির দাম ছিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি মুরগি মাংসের দাম ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল।

তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে হাট-বাজারে শাক-সবজির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনওই দেখা যায় না। শুভেন্দুর কটাক্ষ, লোক দেখানো পদক্ষেপ করে আনাজের দাম শুধুমাত্র ‘সুফল বাংলা’ বিপণিতে কিছুটা কমিয়ে দিলে তার প্রভাব ৫ শতাংশ লোকের ওপরও পড়ে না।

বর্তমানে বেশিরভাগ সবজির দামই গরীব মানুষের নাগালের বাইরে। এমন অবস্থায় শুভেন্দুর প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া বিনে পয়সার চাল কি তবে মানুষ লবণ দিয়ে খাবেন?