সোনাপুর: কাজ শেষ হয়েছে সপ্তাহ তিনেক আগেই। এখনও অনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও হয়নি। আর এই সময়ের মধ্যেই কালভার্টে ফাটল ধরতে শুরু করছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিন কামশিং গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজের জন্যই ওই ফাটল। অন্যদিকে, প্রশাসন বলছে কাজের মান খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দক্ষিন কামশিং গ্রামের ১২/৫১ বুথে দীর্ঘদিন থেকেই ওই কালভার্ট বেহাল অবস্থায় ছিল। প্রায় তিন বছর ধরে ভাঙা কালভার্টের জায়গায় সাঁকো দিয়েই যাতায়াত ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দাদের। বিভিন্ন জায়গায় নতুন কালভার্টের দাবি জানানোর পর সম্প্রতি সেখানে নতুন কালভার্ট তৈরি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ১ পঞ্চায়েত সমিতির ২০২২-৩ সালের ১৫তম ফিনান্স কমিশনের প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকায় ওই কালভার্ট তৈরি হয়েছে।
কালভার্ট তৈরি কাজ শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরই কালভার্টের নীচের অংশে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এবিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা অমল রায়ের বলেন, ‘কাজের মান ভালো হয়নি। সেজন্যই কালভার্টের দুই দিকে ফাটল দেখা দিয়েছে। এখনও বর্ষা আসল না, ঠিক করে গাড়ি চলাচল শুরু হল না। এখনই যদি এই রকম অবস্থা হয় তাহলে আগামীতে কী হবে? কালভার্ট ভেঙে গেলে তো আমাদের আবার সমস্যা হবেই।’ একই রকম কথা শোনা গেলো ওই এলাকার বাসিন্দা হিমাংশু দাস, অজয় দাসের কাছেও।
এবিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার ১ ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নজরে এসেছে ব্লক প্রশাসনের। বিডিও সঞ্জয় প্রধানের কথায়, ‘ফাটলের কথা শুনে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়। ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছে টেকনিক্যাল দিক থেকে ঠিকই আছে।কাজ ভালো হয়েছে। কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশা করি।’ যদিও প্রশাসন কাজ ভালোর কথা বললেও গ্রামবাসীদের মনে প্রশ্ন রেখেই দিচ্ছে কালভার্টের ওই ফাটল।