শিলিগুড়ি: সমতলে সেভাবে সাড়া না পেলেও পাহাড়ে সুফল বাংলা নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে। পাহাড়জুড়ে অন্তত ৪০-৫০টি জায়গায় সবজি এবং ফল বিক্রির কাউন্টার চালু করছে কৃষি বিপণন দপ্তর। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বেশ কয়েকটি মোবাইল ভ্যানে করে ন্যায্য দামে শাকসবজি, ফল বিক্রি হচ্ছে। আরও কিছু জায়গায় এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। কৃষি বিপণন দপ্তর জানিয়েছে, পাহাড়ে শাকসবজির অভাব রয়েছে। সমতল থেকেই সমস্ত সবজি, ফল যায়, যা অনেক বেশি দামে কিনতে হয়। কিন্তু সুফল বাংলায় ন্যায্য দামে শাকসবজি মেলায় মানুষের উৎসাহ বাড়ছে।
প্রকল্পের যুগ্ম অধিকর্তা গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘পাহাড়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি। নতুন নতুন জায়গায় মোবাইল ভ্যান পাঠানোর জন্য অনুরোধ আসছে। আমরাও ধূপগুড়ি, হলদিবাড়ি সহ অন্যান্য জায়গা থেকে টাটকা সবজি নিয়ে তা পাহাড়ে বিক্রি করছি। পাহাড়ে চলাচলের উপযোগী কিছু গাড়ি কেনা হচ্ছে।’ গত বছরের ২৩ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে সুফল বাংলার ২৫টি মোবাইল ভ্যান চালু করেছিল কৃষি বিপণন দপ্তর। নতুন ২৫টি গাড়ি কেনা হয়েছিল। শালবাড়িক কৃষক বাজারে সুফল বাংলার হাব তৈরি হয়েছিল। এক বছরের মধ্যেই শিলিগুড়িতে এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। শহরের কোনও ওয়ার্ডেই সুফল বাংলার মোবাইল স্টল চোখে পড়ছে না। তবে, কৃষি বিপণন দপ্তরের দাবি, শিলিগুড়ি শহরে ১২টি জায়গায় সুফল বাংলার মোবাইল ভ্যানে সবজি বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, সুফল বাংলা নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে পাহাড়ে। সেখানে স্কোয়াশ, মুলো, গাজর ছাড়া সেভাবে অন্য কোনও সবজি পাওয়া যায় না। আলু, পেঁয়াজ, রসুন থেকে শুরু করে সমস্ত শাকসবজি এবং ফল সমতল থেকেই পাহাড়ের বাজারে যায়। যার ফলে সেখানে এই সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেশি পড়ে।
সেই কথা মাথায় রেখে দার্জিলিংয়ে প্রথম সুফল বাংলা মোবাইল ভ্যান চালু করেছে কৃষি বিপণন দপ্তর। ধীরে ধীরে সেখানে বিক্রি বাড়ায় মোবাইল ভ্যানও বাড়ছে। দপ্তর জানিয়েছে, দার্জিলিং এবং কার্সিয়াং মিলিয়ে ২০টিরও বেশি মোবাইল ভ্যানে সবজি বিক্রি শুরু হয়েছে। কালিম্পংয়ে দুটি মোবাইল ভ্যান দেওয়া হয়েছে। মিরিক থেকে অন্তত ১২টি মোবাইল ভ্যান চাওয়া হয়েছে। সেখানেও দ্রুত এই পরিষেবা চালু করা হবে।