সৌরভ রায়, ফাঁসিদেওয়া: লালপাহাড় এলাকায় শীতের মরশুমে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ পিকনিক করতে ভিড় জমান। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে গোটা এলাকা। অভিযোগ, বছর পাঁচেক আগে এই জায়গায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পিকনিক স্পট (Picnic spot) তৈরির কথা ছিল। কিন্তু আজও সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নির্জন-মনোরম পরিবেশ দেখে পিকনিকপ্রেমীরা লালপাহাড়ে গেলেও সমস্যার পাহাড় দেখে দ্বিতীয়বার সেখানে যেতে চান না অনেকেই। যদিও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে সবসময় পুলিশ মোতায়েন থাকে।
ফাঁসিদেওয়া লিম্বুটারি সংলগ্ন আইটিআইয়ের পিছনে বুড়ি বালাসন নদীর তীরে এই পিকনিক স্পটটি অবস্থিত। প্রতিবছরই এই শীতের মরশুমে শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকা থেকে মানুষ পিকনিক করতে আসেন। অথচ সেখানে খাওয়ার জলের কোনও বন্দোবস্ত নেই। একটা শৌচালয়ও নেই। ফলে মহিলারা সমস্যায় পড়ছেন। সেভাবে বসার কিংবা বাচ্চাদের খেলাধুলোরও কোনও ব্যবস্থা নেই।
প্রায় পাঁচ বছর আগের প্রতিশ্রুতিমতো প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে এই এলাকায় সুপরিকল্পিতভাবে পিকনিক স্পট গড়ে তুললে আরও অনেক মানুষ এই এলাকায় পিকনিকের জন্য ভিড় জমাতেন। এতে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হত বলে মত স্থানীয় অসীম রায়ের। তাঁর কথায়, ‘পাশাপাশি পিকনিক স্পটে বসার জায়গা এবং বাচ্চাদের খেলাধুলোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে, আরও বেশি মানুষ পরিবার নিয়ে এই এলাকায় আসতে পারবেন।’
ফাঁকা এলাকা হওয়ায় বাড়িঘর সেভাবে গড়ে ওঠেনি। আছে শুধুই চাষের মাঠ, নদী এবং একটি আইটিআই। তাই ওই এলাকায় ব্যবসায়িকভাবেও উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এবার পিকনিক স্পটটির পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রশাসন উদ্যোগ নিক।
স্থানীয় প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী মানবেন্দ্র রায়চৌধুরী জানান, এখানে পিকনিক করতে আসা অনেকে পানীয় জলের জার কিনে আনেন। শৌচালয়ের সমস্যাও রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় মহিলাদের।
সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন ফাঁসিদেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অণিমা রায়। তিনি বলেন, ‘পিকনিক করতে আসা পরিবারের মানুষের থেকে এখানকার সমস্যাগুলো নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি আরও বেশি মানুষ পিকনিক করতে এলে এলাকায় কর্মসংস্থান হতে পারে। এই কথা মাথায় রেখে লালপাহাড় পিকনিক স্পটটিকে সৌন্দর্যায়নের কথা আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’ শৌচাগার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থাই সেখানে রাখার বিষয়ে কথা চলছে বলে জানালেন তিনি। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন।