মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: কলা বিভাগের ছাত্রী হয়ে তাক লাগানো ফল করল অন্বেষা দত্ত। আলিপুরদুয়ার গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা এবারের উচ্চমাধ্যমিকে(HS Result 2024) ৪৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছে। অন্বেষা বাংলায় ৯৬, ইংরেজিতে ৯৮, এডুকেশনে ১০০, ভূগোলে ৯৬ , দর্শনে ৯৮ নম্বর পেয়েছে। তার প্রিয় বিষয় ইংরেজি। সে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে WBCS অফিসার হতে চায়। মাধ্যমিকে ৯০.৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেও প্রথম দশে জায়গা হয়নি তার। উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল হবে ভেবেছিল সে। কিন্তু প্রথম দশে জায়গা হবে এটা ভাবেনি মেধাবী ওই ছাত্রী।
আলিপুরদুয়ার(Alipurduar) শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কোচবিহার জেলার খোলটা মরিচবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খোলটা চেকপোষ্ট সেনপাড়ার বাসিন্দা অন্বেষা দত্ত। গ্রামীণ এলাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের ওই সাফল্য সবাইকে তাক লাগিয়েছে। সে আলিপুরদুয়ার গার্লস হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বাবা কেশব দত্তের মুদির দোকান রয়েছে। মা নিপা দত্ত গৃহবধু। এদিন টেলিভিশনে প্রথম বোনের সাফল্যের খবর শোনেন দিদি লাকি দত্ত। ফলফল ঘোষণার পর থেকেই খুশির হাওয়া দত্ত পরিবারে।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে বাবা কেশব দত্তের অবদানের কথা বলতে গিয়ে গলা জড়িয়ে যায় অন্বেষার। তার বাবার কঠিন পরিশ্রমের কথা জানায়। সে জানায়, লেখাপড়ার জন্য শুধু নোটবই পড়লেই হবে না। সাবজেক্ট ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। প্রতিদিন গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা লেখাপড়া করেছে। মা নিপা দত্ত বলেন, ‘মেয়ে স্কুলের পরীক্ষায় কখনও প্রথম না হলেও চার- পাঁচ এর মধ্যে থাকত। তবে ছোটবেলা থেকেই ওর লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল। পড়াশোনার জন্য কখনও বলতে হয়নি। নিজে থেকেই পড়ত।‘ আলিপুরদুয়ার গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা সাহা বলেন, ‘অন্বেষার মধ্যে একটা সম্ভবনা ছিল। এমন একটা ফল করবে সেটা আশাও করেছিলাম। ওর ইচ্ছেশক্তি প্রবল। ভবিষ্যতে সে বড় কোনও জায়গায় পৌঁছে যাবে।‘