রাঙ্গালিবাজনা: হাতি তছনছ করে দিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমির ধান। অবশিষ্ট ধান ঘরে তুললে লাভের চেয়ে লোকসানই হবে বেশি। কারণ, অবশিষ্ট ধানের মোট মূল্যের চেয়ে ওই ধান ঘরে তোলার খরচ বেশি। তাই মাদারিহাটের মধ্য খয়েরবাড়ির কৃষকদের অনেকেই গবাদি পশুকে মাঠের ধান খাইয়ে দিচ্ছেন। ক্ষোভ বাড়ছে বন দপ্তরের ভূমিকায়। এদিকে বন দপ্তরের বক্তব্য, সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়েই পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মধ্য খয়েরবাড়ির শৈলেন বর্মন, দিলীপ শৈব, প্রভাত বর্মন, ধেরু মুন্ডা, ইয়াজ আলি, যোগী ওরাওঁ, লবি বসুমাতা সহ অনেকেই এখন তছনছ হয়ে যাওয়া ধানখেতের অবশিষ্ট গাছগুলি গবাদি পশুকে খাইয়ে দিচ্ছেন। ঠুকরু মুন্ডা, রঞ্জিত ওরাওঁ সহ অনেকেই জমি চাষ না করে পতিত ফেলে রেখেছেন। জমি পতিত পড়ে রয়েছে ইসলামাবাদ এলাকাতেও।
মাদারিহাট রেঞ্জের খয়েরবাড়ি ফরেস্টের চারিদিকে রয়েছে মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি, ইসলামাবাদ, ফালাকাটার দেওগাওঁ, পশ্চিম শালকুমার, সাতপুকুরিয়া গ্রামগুলি। বন থেকে বেরিয়ে প্রতি সন্ধ্যায় ধানখেতে হানা দিচ্ছে হাতি। বন লাগোয়া ধানখেতগুলির প্রতিটিতে হাতির পায়ের চিহ্ন স্পষ্ট। এবড়ো খেবড়ো হয়ে গিয়েছে ধানখেত। হাহাকার করছেন কৃষকরা। ধানখেত থেকে হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যুও হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।