উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবার সন্দেশখালিকাণ্ডে(Sandeshkhali) রাজ্যকে নিশানা করে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Justice Abhijit Ganguly)। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে রাত ১২টার মধ্যে ইডি দপ্তরে(ED) হাজিরা দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিচারপতি। বিচারপতির এমন মন্তব্যেকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
শুক্রবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ ইডি আধিকারিকের একটি দল। ঠিক সেই সময়েই গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। এর পর ইডি আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন শাহজাহানের অনুগামীরা। ভাঙচুর চলে গাড়িতে। সেই সময়েই তিন ইডি আধিকারিক জখম হন বলে খবর। ঘটনাস্থল থেকে লুট হয়ে যায় ইডি আধিকারিকদের ল্যাপটপ সহ অন্যায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি অনুষ্ঠান থেকে রাজ্য সরকারকেও নিশানা করলেন তিনি। নদিয়ার কল্যাণীতে একটি অনুষ্ঠানে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, তিনি চান যে সন্দেশখালির ওই তৃণমূল নেতা যেন শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেন। এর পাশাপাশি সাংবাদিকরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, ‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা আছে বলে আপনাদের মনে হয়?’ তিনি আরও বলেন ৩৪ বছরের একটি সরকার দেখেছে বাংলা। সেখানেও নানা ঘটনা ছিল। কিন্তু এখনকার মতো নয়। এমন অসভ্যতার মুখোমুখি কখনও হতে হয়নি। শাক দিয়ে অনেক মাছ ঢাকার চেষ্টা হয়েছে। চার দিকে একটি অপসংস্কৃতির সুর ধ্বনিত হচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাঙালি আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবে।’
অন্য দিকে, বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস, অভিজিৎ গাঙ্গুলি— এরা সবাই এক সূত্রে বাঁধা। বিচারপতি গাঙ্গুলি, তাঁর কোন এক্তিয়ার আছে যে, চেয়ারে বসে এই ধরনের কথাবার্তাগুলি বলবেন!’’