উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সকালেই। এজলাসেই জানিয়েছিলেন রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। রাজ্যপাল কেন কিছু বলছেন না তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন। সন্ধ্যে গড়াতেই আরও আক্রমণাত্মক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এদিন নদিয়ার কল্যাণীতে এক সাংস্ক়ৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, ‘শাক দিয়ে অনেক মাছ ঢাকার চেষ্টা হবে। কিন্তু এইটুকু যদি আমরা বলতে পারি, যে এই দুর্নীতি মানব না তাহলেই অনেকটা হবে।’
তিনি বলেন, ‘তদন্ত আটকানোর জন্য এর আগে মানুষের টাকা খরচ করা হচ্ছিল মামলা মোকদ্দমা করে। কোনও অন্যায় বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেই তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চলে যাওয়া হচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু কী করার জন্য যাওয়া হচ্ছে। আমি তো আজকে জানতে চাইব মোট কত টাকা খরচ হল? এই তদন্ত আটকানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কত কোটি টাকা খরচ করল।’
এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে। পালটা আক্রমণে নেমে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) সরাসরি রাজনীতি করার পরামর্শ দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তবে শাসকদলের কড়া প্রতিক্রিয়াতেও তিনি যে দমবার পাত্র নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি। নিজের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বা সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এবার বিভিন্ন মোকদ্দমায় রাজ্যের টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেই বিতর্ক আরও বাড়ালেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।