কিশনগঞ্জঃ নেপালের জঙ্গল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে হানা দিল(Elephants attack)হাতির পাল। বুধবার ভোর রাতে সীমান্ত পেরিয়ে হাতি চলে আসে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত কিশনগঞ্জের (Kishanganj) দিঘলব্যাংক এলাকায়। গ্রামে ঢুকে তছনছ করে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। এদিন সকাল হয়ে গেলেও হাতির পাল জঙ্গলে ফিরে যায়নি বলে খবর। হাতিগুলো আশ্রয় নিয়েছে নেপাল সীমান্ত(Nepal Border) সংলগ্ন চামড়া কাট্টা গ্রামে। হাতিগুলোর ওপর নজরদারি চালাচ্ছে বিহারের বনদপ্তর ও এসএসবির ১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। সন্ধ্যা হলেই হাতিগুলোকে জঙ্গলে ফেরানোর কাজ শুরু হবে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর।
প্রতিবছরই শীত পরতেই ধান ও ভূট্টার লোভে নেপালের জঙ্গল থেকে সীমান্ত পেড়িয়ে চলে আসে দিঘলব্যাংক এলাকায়। এবছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। এবারও একই ঘটনা ঘটে এই এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর রাতে একপাল হাতি নেপালের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চলে আসে কিশনগঞ্জের দিঘলব্যাংক এলাকায়। লোকালয়ে এসে হাতি হানা দেয় ভূট্টা ও আলুর খেতে। নষ্ট করে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মীরা। সকাল হয়ে গেলেও হাত গুলো জঙ্গল না ফিরে আশ্রয় নেয় নেপাল সীমান্তবর্তী চামড়া কাট্টা গ্রামের একটি ভুট্টার খেতে। নষ্ট করে দেয় ভুট্টার খেতটি।
নেপালের হাতির হানায় বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে স্থানীয় চাষীদের। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন বনদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। এদিকে হাতির পালকে দেখতে নেপাল সীমান্তবর্তী চামড়া কাট্টা গ্রামে ভিড় জমায় প্রচুর মানুষ। হাতিগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে বিহারের বনদপ্তর ও এসএসবির ১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা।
অপরদিকে বনদপ্তরের জেলা আধিকারিক উমানাথ দুবের বক্তব্য, এই হাতির পালে দুটি শাবক সহ মোট ১১টি হাতি রয়েছে। এই বছর প্রথম এই এলাকায় হাতির দল প্রবেশ করল। সন্ধ্যা নামলেই হাতিগুলিকে ফের জঙ্গলে ফেরানোর কাজ শুরু হবে। উৎসুক জনতাকে হাতির কাছে না যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে।