উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারটা যেন ছিল দুঃস্বপ্নের রাত। স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার যন্ত্রণা আপামর ভারতবাসীর। ২০০৩ সালের স্মৃতি যেন ফিরে এল। মাঠের ভেতরেই চোখের জল লুকোনোর চেষ্টা করলেন টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়রা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের পর ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা কোনওরকমে কান্না চেপে রাখেন। কেঁদে ফেলেন মহম্মদ সিরাজ। একে অপরকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। জনসমক্ষে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করলেও ড্রেসিংরুমে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রায় সকলেই। বিধ্বস্ত হয়ে পড়া টিমের ছেলেদের দেখে কোনওরকমে আবেগ সামলে রেখেছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এইভাবে ছেলেদের ভেঙে পড়তে দেখা খুব কঠিন।’
গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেললেও শেষে তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের। টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পা রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। দেশের মাটিতে আরও একবার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু ফাইনালে অজিদের কাছে শেষে আর ভারতের জেতা হয়ে উঠল না আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। একদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা যখন বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছেন, তখন হতাশা, ব্যর্থতা যেন গ্রাস করছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। মাঠেই কেঁদে ফেলেন মহম্মদ সিরাজ। মাঠে হাঁটু মুড়ে বসে গ্লাভস দিয়ে মুখ ঢাকেন কেএল রাহুল। বিরাট কোহলিকে দেখা যায় চোখের জল লুকোতে মুখ নামিয়ে টুপি দিয়ে যতটা সম্ভব ঢেকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
এনিয়ে বলতে গিয়ে কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানান, ড্রেসিংরুমে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অবস্থা ছিল আরও বিপর্যস্ত। কান্না চেপে রাখতে পারেননি অনেকেই। কোচ হিসেবে ছেলেদের এভাবে দেখাটা তাঁর জন্যও সহজ ছিল না। কারণ তাঁরা যে এতদিন ধরে কী পরিশ্রম করেছেন, কতটা ত্যাগ স্বাকীর করেছেন, সেটা কোচ হিসেবে তিনি জানতেন। পাশাপাশি কোচ এও জানান, এই দলটার সঙ্গে কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত। ক্রিকেটার থেকে বাকি সাপোর্ট স্টাফ সকলে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। তবে এটাই শেষ নয়, আগামীদিনে আরও একটা নতুন সকাল হবে বলে আশাবাদী তিনি। হার থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সকলকে, এটাই মনে করেন রাহুল দ্রাবিড়।