বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে শনিবার চূড়ান্ত কটাক্ষ করলেন বাংলারই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন বর্ধমান জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে লকেট বলেন, ‘আসলে সিবিআই ও ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পায়ে ধরবেন। তবে যতই পায়ে ধরুন না কেন কোনও লাভ হবে না। আর উনি হিসেব না দিলে কোনও প্রকল্প কাজের টাকাও পাবেন না। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও উনার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন। তাতে লাভ কিছু হয়নি। তাই নাটক করতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি গিয়েও লাভ হবে না।‘
দিল্লি যাত্রার আগে বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বরাদ্দ বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বিরোধীতা করে বিজেপি সাংসদ লকেট বলেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করা হচ্ছে। প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে যেভাবে। মিড-ডে মিলে বড় দুর্নীতি হয়েছে। চালে পোকা, কাঁকড় পাওয়া যাচ্ছে তা নিন্দাজনক।‘
গান্ধি মূর্তির সামনে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের ধর্না এদিন হাজার দিনে পা রেখেছে। হকের চাকরির দাবিতে এদিন ধর্নাস্থলেই মাথা কামিয়ে সোচ্চার হন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। সেই ধর্নামঞ্চে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিত হওয়া নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘হাজার দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছে। এতদিনে ওদের কথা মনে পড়েছে। আসলে সামনে লোকসভা ভোট আছে, তাই সেকথা মাথায় রেখে উনারা এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে যাচ্ছেন। ভোট পার হলে সব ভুলে যাবে। আবার ২৬ সালে মনে পড়বে। সেটা বুঝেই ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।‘
বিজেপি সাংসদ এদিন দাবি করেন, ২৪-এর নির্বাচনে বাংলার মানুষের যোগ্য জবাব পাবে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। অথচ এই বাংলার শিক্ষিত মহিলারা হাজার দিন ধরে ধর্নায় বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? বলেও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ লকেট।
মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মহুয়া মৈত্র দেশদ্রোহী। আইন আইনের পথে চলবে। ওঁদের অনেকেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কালীঘাটের কাকুও আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন।কংগ্রেসের আইনজীবীরা মোটা টাকার বিনিময়ে ওদের মামলা লড়ছে। আর দেশের সুরক্ষার জন্য বাংলার মানুষ যাঁকে সাংসদ করে দিল্লিতে পাঠিয়েছেন, সেই সাংসদ কিনা ’গোপন পাসওয়ার্ড‘ অন্য জনকে শেয়ার করেছেন! এটাতো দেশের সুরক্ষা ব্যাপার।‘
বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের পালটা জবাবে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। বাংলার মানুষ আগেও তার জবাব দিয়েছেন। আবার ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জবাব দেবেন।‘