বালুরঘাট: কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদের ঝাড়খণ্ডের বাড়ি থেকে ২০০ কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তারপরেও কি ইন্ডিয়া জোটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন? মুখ্যমন্ত্রীর সততা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি সদ্য বহিষ্কৃত কৃষ্ণনগরের সাংসদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন সুকান্ত।
শনিবার বালুরঘাটে নিজের বাসভবনে এক জরুরি সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত। সেখানেই কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গ তুলে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান সুকান্ত। বলেন, ‘যখন বাঙ্গারু লক্ষ্মণের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল, তখন এনডিএ জোট ছেড়ে চলে এসেছিলেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সুকান্তর প্রশ্ন, ‘কংগ্রেস সাংসদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা কি ১ লক্ষ টাকার থেকে কম মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সেসময় যদি তিনি সততার প্রশ্ন তুলে চোরেদের সঙ্গে থাকব না বলে এনডিএ-র জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসলেন। তাহলে আজ কেন তিনি সেই কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি, সনিয়া গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে, যারা এই ব্যাপারটি থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে চেচামেচি করছেন এবং অন্যান্য মোদি বিরোধী জোটের নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গঠিত ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে এলেন না? তাহলে কি ধরে নেব, এক্ষেত্রেও তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বলবেন, ওই সাংসদ চুরি করেননি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘এমনিতেই এই নিয়ে বাংলার মুখ পুড়িয়েছেন উনি। সারা দেশের কাছে বাংলাকে লজ্জায় ফেলেছেন। তার ওপর বড় বড় কথা বলছেন। বহুমূল্যের উপহার ও নানান উপঢৌকন নিয়ে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যিনি ছিনিবিনি খেলেছেন আজ তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না।’ রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে একজন মুখ্যমন্ত্রী সেই বহিষ্কৃত প্রাক্তন সাংসদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তা আরও বেশি বাংলার লজ্জা।’