উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নকাণ্ডে মঙ্গলবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এথিকস কমিটি। এই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বৈঠক ডেকেছে এথিকস কমিটি। তাহলে কি সেদিনই লেখা হবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিধিলিপি? এই প্রশ্নই বর্তমানে ঘুরপাক খাচ্ছে সংসদের অন্দরে।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা ও উপহার নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছেন বিনিময়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ হীরানন্দানিকে সংসদের পোর্টালের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। এরজন্য মুম্বইয়ের ওই নির্মাণ ব্যবসায়ী মহুয়াকে নানা দামি উপহার ও বিদেশযাত্রার খরচ বহন করেছিলেন। এই ভয়াবহ অভিযোগ সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আনেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জয় অনন্ত দেহদ্রাই। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সরব হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। নজরে আনা হয় লোকসভার এথিকস কমিটির। তলব করা হয় মহুয়াকে। গত ২ নভেম্বর কমিটির তলবে হাজিরা দেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু আপত্তিকর প্রশ্ন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ওয়াক আউট করেন মহুয়া মৈত্র।
সূত্রের খবর, অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে সাংসদ পদ হারাতে পারেন মহুয়া মৈত্র। এমনকী সংসদের পোর্টালের গোপনীয় পাসওয়ার্ড ফাঁস করে দেওয়ার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও প্রয়োগ করা হতে পারে।