নাগরাকাটা: দুই দাঁতের আকার বেলচার মতো। যে কারণে এলাকায় নামই হয়ে গিয়েছে বেলচা হাতি। সেই বিরাট বুনোর হামলায় জখম হলেন এক ব্যক্তি। তাঁর নাম ধনকুমার রাই। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বানারহাট থানার ডুডুমারি বস্তিতে। এলাকাটি ডায়না রেঞ্জের অন্তর্গত। বর্তমানে জখম ব্যক্তি মালবাজার সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বন দপ্তরের ডায়নার রেঞ্জার অশেষ পাল জানান, ধনকুমারের চিকিৎসার বিষয়টি বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি স্কোয়াড দেখছে। হাতির গতিবিধির প্রতি বনকর্মীদের নজরদারি অব্যাহত আছে। এদিকে, ওই এলাকা সহ আশপাশের আরও কয়েকটি এলাকায় দলছুট বেলচা বর্তমানে বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার রাতে হাতিটি আপার কলাবাড়ি বস্তিতে একটি বেসরকারি রিসর্টের ভেতর ঢুকে পড়ে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুডুমারির বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ ধনকুমার এদিন সকালে সাইকেলে চেপে গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। আগের রাতে তিনি বিশেষ কাজে ওই গ্রামেই অবস্থিত তাঁর এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন। সকালে বাড়ির সামনেই অতর্কিতে হাতিটি রাস্তার ওপর তাঁকে পেয়ে সেখানেই হামলা চালায়। সাইকেলটিকেও দুমড়ে মুচড়ে দেয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে চলে আসেন বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের কর্মীরাও। পরে তাঁকে মালবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১ অক্টোবর ডুডুমারি লাগোয়া আপার কলাবাড়ি বস্তিতে সীতারাম ছেত্রী ও ১৭ অক্টোবর কুলবাহাদুর থাপা নামে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, বেলচা হাতিটিই ওই দু’জনের ওপর হামলা চালিয়েছিল। ওই গ্রামের ভক্তেবাহাদুর ছেত্রী নামে এক শিক্ষক বলেন, ‘আপার কলাবাড়ি, ডুডুমারি, দেবপাড়া, রাঙ্গাতির মতো গাঁ ঘেষাঘেষি করে থাকা গ্রামগুলিতে এখন বেলচার ভয়ে রাতে কেউ ঘুমোতে পারছেন না।’