বক্সিরহাট: ভালোবাসার টানে বৌদিকে নিয়ে পালালেন বিবাহিত দেওর। দু’সপ্তাহ ধরে তাঁদের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় বিপাকে পরিবার। ঘটনাটি তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালডাঙ্গার।
বৃদ্ধা মাকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন দুই ভাই। দাদা ও ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বেশ মধুর। আট বছর আগে বৃদ্ধার বড় ছেলের সঙ্গে তুফানগঞ্জের কুঠিপাড়ার এক তরুণীর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, বাড়িতেই চিঁড়ের মিল খুলেছিলেন ছোট ছেলে। সাত মাস আগে বক্সিরহাট থানার লাঙলগ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় তাঁর। কাজের সুবাদে দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হত দাদাকে। বৌদিকে বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া-আসার সব দায়িত্ব বর্তায় দেওরের উপর। সম্ভবত সেখান থেকেই বৌদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। তবে দুজনের কেউই বিষয়টি সামনে আসতে দেননি।
কিছুদিন আগে ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন বৌদি। প্রতিবারের মতো দাদার শ্বশুরবাড়ি থেকে বৌদিকে আনতে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন দেওর। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় তাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে বোঝা যায়, দুজনেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ওই তরুণীর স্বামী বলেন, ‘ওদের মধ্যে যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা আমরা কেউই প্রথমে বুঝতে পারিনি। দুজনের মধ্যে দেওর আর বৌদির সম্পর্কই ছিল। বিষয়টি যে এত গভীরে গিয়েছে তা জানতাম না। আচমকাই দুজন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় নিশ্চিত হই।’
সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী ঘরছাড়া হয়েছেন। ফলে বিপদে পড়ে গিয়েছেন বড় ভাই। একই সমস্যায় পড়েছেন ছোট ভাইয়ের স্ত্রীও। দুজনেই নিজেদের স্বামী ও স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ায় তদন্ত শুরু করেছে বক্সিরহাট থানার পুলিশ।