শমিদীপ দত্ত, শিলিগুড়ি: ম্যাট্রিমনি সাইটে ভুয়ো নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট। তারপর শহরের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয়। অসুস্থ বাবার চিকিৎসার অজুহাত দিয়ে ধীরে ধীরে বিশ্বাস অর্জন করে সাত লক্ষ টাকার প্রতারণা। শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় এ ধরনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম রাধাশ্যাম দাস। সে রক্তিম দাসের নাম করে ম্যাট্রিমনি সাইটে অ্যাকাউন্ট বানিয়েছিল। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় বাড়িয়ে প্রতারণার জাল বোনে। প্রতারকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ওই তরুণী তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, গতবছর পুজোর দুই মাস আগে একটি ম্যাট্রিমনি সাইটে প্রতারকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দুজনের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদানপ্রদান হয়। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেপ্টেম্বর মাসে অভিযুক্ত জানায়, তার বাবা অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। তরুণী যদি পাশে দাঁড়ায়, তাহলে ভালো হয়। তরুণীও বিশ্বাস করে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত আশ্বাস দেয়, টাকা ফেরত দিয়ে দেবে। তরুণীর বিশ্বাস পুরোপুরিভাবে অর্জন করেছে, বুঝতে পারে সে। এই সুযোগে তরুণীর থেকে ক্রেডিট কার্ড, ই-মেল আইডির পাসওয়ার্ড, নেট ব্যাংকিয়ের পাসওয়ার্ডও জেনে নেয় সে।
তরুণীর অভিযোগ, ‘মার্চ মাসে আমার কাছে ওই লোকটা আইটি ফাইল চেয়ে বসে। যদিও আমি সেটা দিতে চাইনি। এরপর আমার সন্দেহ হয়। আমি অনলাইন অ্যাপে যে টাকা দিয়েছিলাম, সেটা ফেরত চাই। তারপরে ও ফোন সুইচড অফ করে দেয়।’
এক মাস দেখার পর সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড চেক করতেই মাথায় বাজ পড়ে তাঁর। দেখতে পান, ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও একটি অ্যাকাউন্টে সমানে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। মোট সাত লক্ষ টাকা তাঁর খোয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ওই তরুণী জানতে পারেন, ম্যাট্রিমনি সাইটে প্রতারকের অ্যাকাউন্টটাই ভুয়ো। তারপরই টাকা ফেরত পেতে সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন তরুণী।