রাঙ্গালিবাজনা: অকেজো সেচবাঁধ। যার জেরে শ্রাবণেও ধান চাষে কৃষকদের ভরসা পাম্পসেটেই। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের পূর্ব দেওগাঁওয়ে বামনিয়া নদীর সেচবাঁধ ভেঙে যায়। ১৪ বছরেও সেটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সেচনালায় জল মিলছে না। সপ্তাহখানেক ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। ফলে ধান রুইতে শ্রাবণ মাসেও পুকুর ও কুয়ো থেকে পাম্পসেট ব্যবহার করে জল তুলে সেচের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা।
স্থানীয়দের দাবি, ভাঙা সেচবাঁধটি পরিদর্শন করে পুনর্নির্মানের আশ্বাস দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি শীলা দাস সরকার, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন, প্রয়াত বিধায়ক অনিল অধিকারীরা বলে। যদিও প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কাজ হয়নি। ২০০৯ সালে ওই নদীতে বাঁধ দিয়ে জলস্ফীত করে সেচনালার মাধ্যমে প্রায় ৫০০ একর জমিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ওই বছরই সেচবাঁধটি ভেঙে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সেচবাঁধটি ভেঙে গিয়েছে। সেচবাঁধ না থাকায় নদীর মূল খাত দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল। নালায় জল মিলছে না। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকায় সেচনালাগুলি ঝোপঝাড়ে ঢেকে গিয়েছে।
এবিষয়ে দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান রহিফুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি জেলা পরিষদের নজরে আনা হয়েছিল। সভাধিপতিও এসেছিলেন। আশা করছি নতুন বোর্ড এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে।‘