বক্সিরহাট: নদীপথে মূল্যবান কাঠ পাচারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নামল আলিপুরদুয়ারের বক্সা ও কোচবিহার বন দপ্তরের কর্মীরা। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অসম-বাংলা সীমানা লাগোয়া রায়ডাক নদী সংলগ্ন বন্যাগুড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় সেগুন কাঠের গুড়ি। যদিও বনকর্মীরা পৌঁছোনোর আগেই অবৈধ দুটি করাত কলের যন্ত্রাংশ সমেত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় কাঠ পাচারকারীরা।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা’র কায়দায় বক্সা অথবা ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে শাল, সেগুন সমেত বহু মূল্যবান গাছ কেটে তা একসঙ্গে বাঁশ ও টিউব দিয়ে বেঁধে ভাসানো হয় নদীতে। নদীপথে সেই কাঠ নিয়ে আসা হয় রায়ডাক নদী সংলগ্ন অসম-বাংলা সীমানা লাগোয়া বন্যাগুড়ি দুর্গম এলাকায়। সেখানে অবৈধ করাতকলে সেই কাঠ চেরাই করার পর তা পৌঁছে যায় বিভিন্ন কাঠ ব্যবসায়ীদের হাতে। এভাবেই কাঠ মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠেছে বন্যাগুড়ি এলাকা। তবে এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন্যাগুড়ি এলাকায় যৌথ অভিযানে নামে আলিপুরের বক্সা ও কোচবিহার বন দপ্তরের কর্মীরা। অভিযান চালিয়ে ভুট্টাখেতের ভেতর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৩৫ সিএফটি সেগুন কাঠের গুড়ি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কোচবিহার বন বিভাগের এডিএফও বিজন কুমার নাথ জানান, বক্সা ও আটিয়ামোচড় বন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে ৩৫ সেফটি সেগুন কাঠের গুড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অবৈধ কাঠের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালানো হবে।