ডালখোলা: গ্যাসের ভর্তুকি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে না, তাই আধার কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেইল সহ মোবাইলে যাওয়া ওটিপি দিন। ব্যাস এইটুকুই যথেষ্ট, এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ। ঠিক এভাবেই প্রতারিত হয়েছেন ডালখোলার একটি এলপিজির বেশকিছু গ্রাহক। দুই সপ্তাহ ধরে ঘটে যাওয়া এমনই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডালখোলায়। অভিযোগ, ডালখোলার এক এলপিজির ডিস্ট্রিবিউটার সংস্থার নাম করে ফোন মারফত গ্রাহকদের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে তথ্য এবং ওটিপি। আর তা দিলেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করে নিচ্ছে প্রতারক চক্রের পান্ডারা। এভাবেই ওই গ্যাস সংস্থার প্রায় ৫০ জন গ্রাকদের কাছে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে চাওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের তথ্য। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত ডালখোলার বালাজি গ্যাস এজেন্সির পরিচালকরা। এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন এজেন্সির মালিকপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ওই এজেন্সির গ্রাহক ডালখোলা পুর এলাকার লাহাসারার বাসিন্দা তপন কুমার যাদবকে ফোন করা হয়। তাঁকে ফোনে বলা হয়, তাঁর গ্যাসের ভর্তুকি বাবদ ২৪ হাজার টাকা জমে আছে। কেওয়াইসির মাধ্যমে সে টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া সম্ভব। আর তার জন্য আঁধার কার্ড সহ ব্যাংক ডিটেলস এবং ফোনের মেসেজে যাওয়া ওটিপিও চাওয়া হয়। সেই মতো ভর্তুকি পাওয়ার আশায় ফোনে আসা ওটিপি দিয়ে দেয়। এরপরই ঘটে অঘটন। দফায় দফায় তাঁর একাউন্ট থাকা ১৩ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। এরপরই টনক নড়ে তপনের। সে এজেন্সির পরিচালককে ফোন করে বিষয়টি জানালে প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে। অন্যদিকে, এমনই ঘটনার সাক্ষী ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা শিবা মোদক। তাঁকেও ফোন করে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু শিবার উপস্থিত বুদ্ধিতে প্রতারকরা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেনি।
বালাজি গ্যাস এজেন্সির পরিচালক রঞ্জিত চৌধুরী বলেন, ‘কেউ বা কারা আমাদের বেশ কিছু গ্রাহককে ফোন করে বিভিন্ন তথ্য চাইছে। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে আমরা গ্রাহকদের গ্যাস ডেলিভারির সময় গ্রাহকদের সচেতন করছি। সকলকে আমরা জানাচ্ছি আমরা ফোন মারফত কোনও গ্রাহকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীতে আমরা বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানাবো।‘ যদিও লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে ডালখোলার থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন।