শুভ দত্ত, বানারহাট: গয়েরকাটায় এশিয়ান হাইওয়ের (Asian Highway) দু’পাশের নয়ানজুলি এবং জলাভূমি দ্রুত ভরাট করে দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সেসব জায়গায় গড়ে উঠছে ছোট ছোট দোকান, কারখানা। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সেই জমি।
বানারহাটের বিডিও (BDO) নিরঞ্জন বর্মনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এখনও পর্যন্ত এধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে তাঁর সাফ কথা, এভাবে নয়ানজুলি ভরাট করা যায় না। পুরো বিষয়টি তিনি থানার আইসি সহ ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিককে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ, স্থানীয় শাসকদলের নেতার মদতে ও ছত্রছায়ায় এবং প্রশাসনের যোগসাজশে চলছে জমি মাফিয়াদের (Mafia) এই কারবার। যদিও শাসকদলের জড়িত থাকার কথা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) নেতারা। তবে বানারহাটের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং নয়ানজুলি ভরাটের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। পুরো বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানাবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।
গয়েরকাটা, চানাডিপা, আংরাভাসা এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের দু’দিকে নয়ানজুলি ও জলাভূমি ভরাটের ঘটনায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবেশপ্রেমীরা। এবিষয়ে স্থানীয় একটি সংস্থার পরিচালক ও পরিবেশপ্রেমী ভিক্টর বসু বলেন, ‘বেআইনিভাবে জলাজমি বুজিয়ে দেওয়ায় পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। ভারসাম্যও বিঘ্নিত হচ্ছে।’ কয়েকজন অবৈধ কারবারির এই কীর্তিতে চা বলয়ের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিজেপির বানারহাট ব্লকের যুব মোর্চার সভাপতি সঞ্জয় চৌধুরী আবার এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের ছায়া দেখতে পেয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, ‘এমন কাজ আজ থেকে হচ্ছে না। দীর্ঘদিন থেকেই হচ্ছে। এর মধ্যে যোগ রয়েছে বর্তমান তৃণমূলের নেতাদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা এসব কাজেও দালালি করছে। তাই প্রশাসনের লোকজন পদক্ষেপ করা তো দূরের কথা, কোনও কথা বলারই সাহস পাচ্ছে না।’ এসব ব্যাপারে সরাসরি দিল্লিতে জানাবার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, এসব অভিযোগ হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বানারহাট ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সাগর গুরুং। তিনি জানান, ‘তৃণমূলের কোনও নেতা এর সঙ্গে জড়িত নেই। তবে নয়ানজুলি ভরাটের কথা ব্লক প্রশাসনকে জানাব।’