উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদ থেকে বহিষ্কারের পর বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দৃশ্যতই ক্ষিপ্ত মহুয়া এদিন এককাট্টা বিরোধী সাংসদদের নিয়ে লোকসভা চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নামে এথিক্স কমিটি সমস্ত নিয়ম ভঙ্গ করেছে। দর্শন হীরানন্দানির যাবতীয় অভিযোগ তাঁকে খতিয়ে দেখতে দেওয়া হয়নি। এমনকি দর্শন হীরানন্দানিকে এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দিতেও বলা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ আনা হলেও এর কোনও টাকা বা উপহার নেওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণও সামনে আনতে পারেনি এথিক্স কমিটি।
মহুয়া এদিন পরিষ্কার জানান, কাল থেকেই তদন্তের নামে তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হবে। ৬ মাস ধরে তাঁকে তদন্তের নামে হেনস্তা করা হবে। এদিন মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে একজোট হন বিরোধী সাংসদরা। মহুয়ার পাশে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরিরা। সবাই মিলে সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান।
উল্লেখ্য মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাই আর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা মামলায় তদন্ত শুরু করে এথিক্স কমিটি। এথিক্স কমিটি মহুয়াকে তলব করলেও সেই বৈঠক থেকে অশোভন ও ব্যক্তিগত প্রশ্ন করার অভিযোগে বের হয়ে আসেন মহুয়া। মহুয়ার পাশে দাঁড়ায় কংগ্রেস, সিপিএম ও অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরাও। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার অস্বাভাবিক দ্রুততায় যাবতীয় রিপোর্ট তৈরি করে তা স্পিকারের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেই রিপোর্টই এদিন লোকসভায় পেশ করা হয়। যার ভিত্তিতে আলোচনার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু মাত্র আধঘন্টা সময় দেন স্পিকার। পাশাপাশি মহুয়াকেও সংসদে বলতে দেওয়া হয়নি। এরপরই মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন স্পিকার।