সুভাষচন্দ্র বসু, বেলাকোবা: সিকিমে হড়পা বিপর্যয়ের জেরে ক্ষতির মুখে পড়ে গজলডোবায় নৌকা বিহার প্রকল্প। গজলডোবায় তিস্তার বাঁধ ভেঙে নৌকা বিহারের জল সম্পূর্ণ বেরিয়ে গিয়ে সেখানে দেড় থেকে দুই ফুট পলির আস্তরণ পড়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় নৌকো বিহার। সংকটে পড়েন নৌকা চালকরা। নৌকা চালক বিক্রম মজুমদার জানিয়েছেন, শিকারা নিয়ে ১০৫টি নৌকো রয়েছে, যার মধ্যে ৮১ টি নথিভূক্ত বাকি সব নতুন। তিস্তার বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়াতে নৌকো বিহারের জন্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ব্যাপি জলাশয়টি জল শূন্য হয়ে গিয়ে সেখানে দেড় থেকে দু ফুট পলির আস্তরণ জমা হয়েছে। ঘটনার পর দুই সপ্তাহ ছিল নৌকা বিহার বন্ধ ছিল।
বাঁধের সংস্কার হওয়ার পর কিছুটা জল জমা হওয়াতে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে নৌকো বিহার চালু করেছেন। কিন্তু সেভাবে পর্যটকের দেখা মিলছে না। আগে যেখানে রোজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা রোজগার হত, সেখানে এখন ৭০-৯০ টাকা রোজগার হচ্ছে। পলি জমা থাকায় সর্বত্র নৌকা যাচ্ছে না, ফলে পর্যটকরাও নৌকা বিহারে আগ্রহ হারিয়েছেন। খুব দ্রুত এলাকায় ড্রেজিং করার দাবি তুলেছেন নৌকা চালক সুশান্ত বিশ্বাস, বিষ্ণু সরকার পলাশ সন্ন্যাসীরা। এ সম্পর্কে গজলডোবা উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ‘সম্প্রতি সিকিমে হরপা বানে গজলডোবায় নৌকো বিহারের ক্ষেত্রে মাঝিদের যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেগুলির নিয়ে সেচ দপ্তরের সাথে কথা হয়েছে। এবং তারা ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করেছেন।’