ময়নাগুড়ি: মেয়ের বিয়েতে বরযাত্রীদের মাংস খাওয়াতে পারেননি বাবা। সেই কারণে বউভাতের অনুষ্ঠানেই বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা ও পরে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। ঘটনায় প্রতিবেশী এক যুবক সহ কনেপক্ষের ২ জন জখম হন। অবশেষে গভীররাতে না খেয়েই বাড়ি ফিরলেন ৭০ জন কন্যাযাত্রী। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১২টার পর ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভবারডাঙ্গায় ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর জখম ওই প্রতিবেশী শনিবার ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি ভবারডাঙ্গার বাসিন্দা বিজয় সরকারের ছেলের সঙ্গে খাগড়াবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার টেকাটুলি দাসপাড়ার বাসিন্দা কার্তিক দে সরকারের মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ের বিয়েতে বরযাত্রীদের মাংস খাওয়াতে পারেননি কার্তিকবাবু। সেটা নিয়েই বিজয় সরকার সহ বরপক্ষের লোকজনদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এরপর গতকাল রাতে প্রায় ৭০ জন কন্যাযাত্রী বউভাতের অনুষ্ঠানে যান। রাত গড়িয়ে গেলেও বরপক্ষের কেউই তাঁদের কোনরকম পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ। রাত ১২টার পর বর ও কনে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা বাধে। শুরু হয়ে ধস্তাধস্তি। জখম হন মেয়ের ছোট ভাই বদন দে সরকার ও তাঁর স্ত্রী নেহা মজুমদার দে সরকার। ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায় বধূবরণের অনুষ্ঠানেই। সেইসময় খাওয়া দাওয়া সেরে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতিবেশী যুবক নিকুঞ্জ রায়। গেটের বাইরেই জটলা দেখে কন্যাযাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। তাঁকেও কন্যাযাত্রীরা মারধর করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপর নিকুঞ্জ কয়েজ জনের নাম উল্লেখ করে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মেয়ের বাবা পেশায় টোটো চালক। এদিন তিনি বলেন, ‘মেয়ের বিয়েতে বরযাত্রীদের আমি মাংস খাওয়াতে পারিনি। বিয়ের দিন থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে কটূক্তি করছেন ছেলের বাবা। বধূবরণের অনুষ্ঠানে আমাদের হেনস্তা করেছেন।‘ যদিও ছেলের বাবা সমস্ত অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, রাতের খাওয়া কিছুটা দেরিতে হয়েছে সেই কারণেই এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে মেয়ের বাড়ির সকলেই যে না খেয়েই ফিরে গিয়েছেন সেই কথাও তিনি স্বীকার করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।