হরিশ্চন্দ্রপুর: হাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর আগেই গ্রামে ঢুকে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার নয়াটোলা গ্রামে ঢুকে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, বাড়ির দরজা ভাঙচুর, মহিলাদের গায়ে হাত তোলা এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে অঞ্চল সভাপতি এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
রাতে গ্রামবাসীদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এলাকার বিজেপির প্রার্থী অজয় পাসওয়ান ও অন্যান্য কর্মীরা। তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা সঞ্জীব গুপ্তা এবং তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের মুখে পড়ে অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকাজুড়ে। এরপরই গতরাতে ওই এলাকা থেকে পুলিশ দুই মহিলাকে আটক করে। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের মহিলারা। ওই দুই মহিলার মুক্তির দাবি জানান তাঁরা। সঞ্জীব গুপ্তা সহ পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।
যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা। তিনি বলেন, ‘বিজেপির পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে বলে তারা এখন ভুলভাল অভিযোগ করে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।’ এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ জমা করেছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।