শিলিগুড়ি: কাঁটাতারের গণ্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলায় এখন ‘বিজয়ার পরে’। ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা কুড়িয়েছে শিলিগুড়ির অভিজিৎ শ্রীদাসের ছবি। দর্শকের পছন্দের ‘বিজয়ার পরে’ টিমকে তাই সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ঢাকার গণভবনে ডেকে নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই বাংলার সিনেমা নিয়ে মিনিট দশেকের আলোচনা যখন থামল তখন ঘড়ির কাঁটা পাক্কা চল্লিশ মিনিট পেরিয়েছে।
ছবির অন্যতম অভিনেত্রী মমতাশংকর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে হাসিনার আলোচনায় উঠে এসেছে দুই বাংলার সিনেমা আদানপ্রদানের বিষয়টি। দুই বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি কীভাবে মিশে যায় সিনেমায়, তা নিয়েও খোশগল্পে মেতেছিলেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সিনেমা নিয়ে এত আগ্রহে স্বাভাবিকভাবেই উৎফুল্ল পরিচালক অভিজিৎ। রাতে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ সংবাদকে বললেন, ‘আমরা কী বিষয় নিয়ে সিনেমা করি, কেমন করে সিনেমার ভাষা বলি, তা জানতে চেয়েছেন উনি। দুই বাংলার সিনেমা যোগাযোগ আরও দৃঢ় করতে নানা আলোচনা হয়েছে।’
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় এখন সিনেমার সংখ্যা বাড়লেও মুক্তি নিয়ে প্রায়শই সমস্যা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে কীভাবে দুই দেশের নিয়মের সরলীকরণ করা যায়, তা নিয়ে মূলত আলোচনা করেছেন হাসিনা। মমতাশংকরের কথায়, ‘বাংলাদেশ সবসময় আমার মনের কাছের একটা জায়গা। সেখানে যে আতিথেয়তা পেয়েছি, ভাবা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিনেমা নিয়ে সবরকম কথা হয়েছে।’
ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম বিচারক হিসেবে বাংলাদেশেই রয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর। এদিন মমতাশংকর, স্বস্তিকা, অভিজিৎদের সঙ্গে আলোচনায় আসনজুড়ে ছিলেন তিনিও। সুমন ঘোষের হাত ধরে প্রায় ১৪ বছর পর বাংলা সিনেমা ‘পুরাতন’-এ ফিরছেন কিংবদন্তি শিল্পী। দুই দেশের সিনেমার ভূত-ভবিষ্যতের আলোচনায় তিনি ছিলেন অন্যতম কান্ডারি।
বুধবারই ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘বিজয়ার পরে’। বাংলাদেশের ভিভিআইপি থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক চুটিয়ে দেখেছেন ছবিটি। মাটিতে বসেও গোগ্রাসে মমতাশংকর-স্বস্তিকার মা-মেয়ের রসায়ন উপলব্ধি করেছেন সিনেমাপ্রেমীরা। আর তাতেই বেজায় খুশি পরিচালক অভিজিৎ ও প্রযোজক সুজিত রাহা। দুজনেরই কথায়, এত ভালোবাসা পাব, ভাবিনি।