উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি-কংগ্রেস। মধ্য প্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলেছেন পদ্ম নেতারাও। নির্বাচনী সভায় একে অপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করা থেকে বিরত থাকছেন না যুযুধান দুই দলের নেতারা।
শেষ লগ্নে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনী প্রচার। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপির হয়ে ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে জনসংযোগের ওপরই ভরসা রেখেছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। মঙ্গলবার মধ্য প্রদেশের বেতুলে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে নাম না করে রাহুল গান্ধিকে বিঁধলেন তিনি। রাহুলকে খোঁচা দিয়ে মহাজ্ঞানী ও মুর্খের সর্দার বলে উল্লেখ করেন মোদি।
তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘কংগ্রেসের একজন মহাজ্ঞানী বলেছেন ভারতীয়রা চিনের তৈরি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। মুর্খের সর্দার কোন দুনিয়ায় থাকেন তা ভগবানই জানেন। নিজের দেশের সাফল্য-উন্নয়ন দেখতে পান না। এটা ওনার একটি রোগ। আসলে কংগ্রেস তো আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। মাটির সঙ্গে ওদের কোনও যোগাযোগ নেই।’
এদিন নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দলটির নেতা-নেত্রীরা বিদেশি কাচের চশমা পড়ে রয়েছেন বলেই হয়ত চোখে কিছু দেখতে পান না। তাঁরা হয়ত জানে ও না গত দু’বছরে একের পর এক বিষয়ে সাফল্যে পেয়েছে ভারত।’
২০১৮-র নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেস। সরকার গঠনের কয়েকদিনের মধ্যেই দল ছাড়েন ২২ বিধায়ক। যার জেরে পতন হয় কমল নাথ সরকারের। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে বিজেপিকে পালটা দিলেন রাহুল গান্ধি। মোদি-শাহকে ‘বিধায়ক চোর’ বলে খোঁচা দেন তিনি। রাহুল গান্ধি এদিন এক নির্বাচনী সভায় বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে আপনারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও বিজেপি সরকার গঠন করল। কী ভাবে সেটা হয়েছে সেটা সবাই জানে। মোদী, অমিত শাহ আর শিবরাজ সিং চৌহানরা বিধায়কদের কিনেছেন ঠিকই কিন্তু তাঁরা মানুষের মন কিনতে পারেননি।’