ধূপগুড়ি: প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে রাতে দীর্ঘক্ষণ কথা। তারপরই সকালে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (HS Examinee)। মৃতের নাম রাজেশ রায় (১৯)। ধূপগুড়ি ব্লকের গাঢ়খুটা এলাকার বাসিন্দা রাজেশ খুট্টিমারি হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর ঘরে আলো জ্বলছিল। পরিবারের লোকেরা ভেবেছিলেন বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের (HS Exam 2024) রাষ্ট্রবিজ্ঞান (Political Science) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু সকাল হতেই দেখা যায় রাজেশের কোনও সাড়া শব্দ নেই। শেষমেশ ঘরের দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকেরা দেহ উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পেছনে প্রেম ঘটিত কারণ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিবার সূত্রে খবর, রাজেশ মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেশীর বিয়েতে গিয়েছিল, সেখান থেকে ফিরে রাতে নিজের ঘরে যায়। রাতে কোনও মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন তিনি। ইতিমধ্যে মেয়েটির সঙ্গে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগও করেছে। কিন্তু সেখান থেকে বিশেষ তথ্য পাওয়া যায়নি। মৃতের কাকা কৈলাস রায় বলেন, ‘বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে রাজেশ নিজের ঘরে চলে যান। বাড়ির সকলে ভেবেছিলেন হয়ত শেষ পরীক্ষার প্রস্তুতি সারছিলেন।’
খুট্টিমারি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিষ্ণুপদ রায় বলেন, ‘রাজেশ ভালো ছাত্রই ছিল। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ভালো ফলই করত বলে আমাদের আশা ছিল, কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে তা কেউই ভাবতে পারে নি।’ ঘটনায় অবশ্য লিখিতভাবে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতের আরও এক আত্মীয় জয়দেব রায় বলেন, ‘ঘটনার পেছনে মেয়ে সম্পর্কিত কোনও যোগ রয়েছে। তবে রাতে মেয়েটির সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পরিবারের লোকেরা।’ ধূপগুড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ‘লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট জানা যাবে।’