ধূপগুড়ি: চার বছরের প্রেম ছিল দুজনের। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। এখন সেসব অতীত। প্রেমিকা বেঁকে বসেছেন। নাছোড়বান্দা প্রেমিক তাই রবিবার প্রেমিকার বাড়ির সামনে নিজেদের ছবি দিয়ে প্ল্যাকার্ড বানিয়ে ধর্নায় বসেছেন। দাবি দুটো, হয় বিয়ে করতে হবে। নাহলে চার বছর প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন যা খরচ হয়েছে, তা ফেরাতে হবে। এমন অভিনব প্রোপোজালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
প্রেমিকের কথায়, ‘আমাদের চার বছরের সম্পর্ক। সম্পর্ক থাকায় অনেকবার বাড়িতেও গিয়েছি। কিন্তু এখন ও আর বিয়ে করতে চাইছে না।’ তাঁর সংযোজন, ‘নষ্ট হওয়া সময় তো ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অনেক টাকা খরচ হয়েছে, অনেক জিনিসও নিয়েছে। সব হিসেব করে ফিরিয়ে দিতে হবে। নাহলে বিয়ে করতে হবে।’
এদিন সকাল থেকে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তরুণ। পঞ্চায়েত সদস্য আলোচনা করে তিন ঘণ্টা পর ধর্না উঠিয়ে দেন। পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘এমন ধর্না বা দাবির কথা কস্মিনকালেও শুনিনি। ছেলেমেেয় দুজনই এই পঞ্চায়েত এলাকার। এই ঘটনায় গ্রামেরই বদনাম হচ্ছে। তাই মাঠে নামতে হয়েছে।’ ঠিক হয়েছে, বুধবার এই বিষয়ে দু’পক্ষের আলোচনা রয়েছে। প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁরা কিছু বলতে নারাজ। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছে, এভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন না তাঁরা।
জানা গিয়েছে, এর আগে বিয়ের দাবি জানিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে মারধর খেতে হয়েছে বলে অভিযোগ। তারপরেই এই ধর্না। চার বছরের এই প্রেমের সম্পর্কে দুজনে অনেক জায়গাতেই ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেইসব ছবি দিয়েই এদিন প্ল্যাকার্ড বানিয়ে নিয়ে যান প্রেমিক তরুণ। বিয়ের দাবি জানিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নার ঘটনা ধূপগুড়িতে নতুন নয়। এর আগেও একাধিক এরকম ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল নেট দুনিয়া। রবিবার ফের একটা ধর্নার সাক্ষী থাকল ধূপগুড়ি।