নকশালবাড়িঃ ‘লাঙল যার জমি তার’, ফজলুল হকের এই শ্লোগান রাজ্যে বিভিন্ন সময় শোনা গিয়েছে জমি আন্দোলনে। তেভাগা থেকে অন্যান্য কৃষক আন্দোলন প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই শ্লোগান ব্যবহার করেছে বিভিন্ন বামপন্থী ও অতিবামপন্থী সংগঠন। রবিবার ফের এই শ্লোগানকে সামনে রেখেই জমি আন্দোলন করতে দেখা গেল বামেদের। ‘লাঙল যার জমি তার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার লাল ঝান্ডা হাতে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে প্রায় ৯৯ বিঘা জমি দখল করল বড় মনিরাম জোত বর্গা উচ্ছেদ বিরোধী কৃষক কমিটি। বামপন্থী এই সংগঠনগুলির অভিযোগ, তাঁদের অধিগৃহীত জমি বর্গাদারদের অন্ধকারে রেখে পুরানো জোতদারদের উত্তরাধিকারীরা কলকাতার কিছু পুঁজিপতির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন শিলিগুড়ি মহকুমার অধীন ভারত নেপাল সীমান্ত নকশালবাড়ি ব্লকের বড় মণিরাম জোতে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে মেচি নদীর ৯৯ বিঘা জমি দখল করল বড় মনিরাম জোত বর্গা উচ্ছেদ বিরোধী কৃষক কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছে সিপিএম, সারা ভারত কৃষক সভা, সারাভারত কৃষক মজদুর সভা সহ মোট ৭টি বামপন্থী সংগঠন। প্রায় দেড় শতাধিক বাম কর্মী সমর্থক এদিন লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে জমি দখল করে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বড়মনিরাম জোত এলাকায় মেচির পাড়ে প্রায় ৯৯ বিঘা খতিয়ানভূক্ত জমিতে চাষাবাদ করতেন প্রায় ৫৭ জন বর্গাদার। এদের অন্ধকারে রেখে জোতদারদের ওয়ারিশরা কোলকাতার কিছু পুঁজিপতিদের কাছে বিক্রি করে দেয়। বহু অনুনয় বিনিনয় করেও জমির অধিকার ফিরে পায়নি বর্গাদাররা। আজ বড় মনিরাম জোতের বর্গা উচ্ছেদ কৃষক কমিটি বর্গাদারদের সেই জমিতে ঝান্ডা পুঁতে জমির দখল নেয়। এবং সেই জমিতে প্রবল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে ভাগচাষীরা আজই শুরু করেন ডাল চাষ। ফের চাষ করার অধিকার ফিরে পেয়ে খুশি বর্গাদাররা।
এদিন সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌতম ঘোষ বলেন, ‘বর্গাদারদের অন্ধকারে রেখে চাষের জমি কলকাতার পুঁজিপতিদের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেই জমিতে চাষের অধিকার হারিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল ভাগচাষীরা। আজ সেই জমি দখল নিয়ে দখল করে চাষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের’।