মুম্বই: এ যেন এশিয়া কাপ ফাইনালের রিপ্লে! ভারতীয় বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে আরও একবার খড়কুটোর মতো উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপ ফাইনালে একাই ৬ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। সেদিন তাঁকে যোগ সঙ্গত দিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও জসপ্রীত বুমরাহ। এদিন শ্রীলঙ্কা শিবিরে প্রাথমিক ধাক্কা দেন বুমরাহ। এরপরই সিরাজ-শো। দিমুথ করুণারত্নে (০), কুশল মেন্ডিস (১) সাদিরা সমরবিক্রমা (০)-কে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এরপর মহম্মদ সামির হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের ভরসার যথাযথ মর্যাদা দিয়ে শ্রীলঙ্কা শিবিরে একের পর এক আঘাত হানতে থাকেন সামি। ৫ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। সিরাজ ৭ ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট। বুমরাহ ও জাদেজা ১টি করে উইকেট পান। সামি-সিরাজ-বুমরাহ-এই ত্রয়ীর বিধ্বংসী বোলিংয়ের কোনও জবাব ছিল না শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের কাছে। যার ফলে মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে যায় তাঁদের ইনিংস। ৩০২ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ হারে শ্রীলঙ্কা।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৪)-র উইকেট হারায় ভারত। এরপর খেলা ধরে নেন শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি। তাঁদের জুটিতে ওঠে ১৮৯ রান। গিল (৯২) ও কোহলি (৮৮) দুজনেই শতরান হাতছাড়া করেন। গিল আউট হলে মাঠে নামেন শ্রেয়স আইয়ার। শুরুতে দেখে নিয়ে পরে ঝড় তোলেন তিনি। ৫৬ বলে ৮২ করেন শ্রেয়স। ইনিংসে ছিল ৬টি ছয় ও ৩টি চার। তিনিও শতরান হাতছাড়া করেন।
এদিন রান পাননি কেএল রাহুল (২১) ও সূর্যকুমার যাদব (১২)। শেষ দিকে ঝড় তোলেন রবীন্দ্র জাদেজা। মাত্র ২৪ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রান তোলে ভারত। শ্রীলঙ্কার দিলশান মধুশঙ্কা একাই নেন পাঁচ উইকেট। গিল, কোহলি, শ্রেয়স-তিনজনই মধুশঙ্কার শিকার। ৩৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ভারতের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫-তেই শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫০ রানে অলআউট হয়েছিল প্রতিবেশী দেশটি।