উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার আফ্রিকার (Africa) একাধিক দেশে প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে বা দূত (Defence attaches) নিয়োগ করতে চলেছে ভারত। আফ্রিকার দেশগুলিতে প্রভাব বিস্তারের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন (China)। এই পরিস্থিতিতে আফ্রিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক এবং সামরিক কূটনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করল ভারত। প্রথম দফায় ইথিওপিয়া, আইভরি কোস্ট, মোজাম্বিক এবং জিবৌতিতে প্রতিরক্ষা দূত নিয়োগ করবে ভারত। যদিও আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশে প্রথমবার হলেও এর আগে চিনের সঙ্গে কৌশলগত আগ্রাসনের কারণে জিবৌতিতে সামরিক দূত নিয়োগ করেছিল ভারত।
চিনের কাছে ঋণগ্রস্ত দ্বীপরাষ্ট্র জিবৌতিতে অনেকদিন আগেই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগর দ্বারা বেষ্টিত হওয়ার কারণে অবস্থানগত তাৎপর্য রয়েছে জিবৌতির। এখান থেকে আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনাকে টক্কর দিতে পারবে চিন। সেই লক্ষ্যে জিবৌতিতে তৈরি নৌঘাঁটিতে দ্রুত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েন করতে চলেছে চিন। আর চিনের এই চালের পালটা জবাব দিতেই আফ্রিকার একাধিক দেশে সামরিক দূত নিয়োগ করছে ভারতীয় সেনা। এতে করে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখা আরও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আফ্রিকার একাধিক দেশ ভারতের থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পেতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সূত্রের খবর, আগামীতে আফ্রিকার দেশগুলি ছাড়াও ফিলিপিন্স, আর্মেনিয়া এবং পোল্যান্ডেও প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে নিয়োগ করবে দিল্লি। সব ঠিকঠাক থাকলে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর ১৬ জন অ্যাটাশে খুব দ্রুত নিজেদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।