কলকাতা: রাত পর্যন্ত সায়নী ঘোষকে জেরা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এমনই অভিযোগ তুলল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস।
এপিডিআরের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সুর জানিয়েছেন, কোনও মহিলাকে সূর্য ডোবার পরে হেপাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় না। কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এমনটা করতে পারে না। এটাই প্রতিষ্ঠিত নীতি বলে দাবি করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। এমনটা করা হলে পরে এই ধরনের কাজকর্মই মান্যতা পেয়ে যাবে। দীর্ঘ আন্দোলনের পর অর্জিত মানবাধিকার এভাবে কেড়ে নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। যদিও সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সায়নী ঘোষের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই। একইসঙ্গে তারা চান নিয়োগ-দুর্নীতির সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি হোক। তবে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া দিনের বেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হোক।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ ইডি দপ্তরে হাজির হন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জেরা করার পর তাঁকে ছাড়া হয়। সায়নী নিজে অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সায়নী জানান, তদন্তে সহযোগিতা করতে তিনি তৈরি৷ রাতে গল্ফগ্রিনে নিজের আবাসনে ঢোকার আগেও সায়নী বলেন, ‘ইডি একশোবার ডাকলে আমি একশোবার যাব৷ আমি সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি৷ তদন্তকারী অফিসাররা যা জানতে চেয়েছেন বলেছি, ভবিষ্যতেও বলব৷’ ৫ জুলাই ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছে ইডি।