মাথাভাঙ্গা: মাথাভাঙ্গা শহর জবরদখল মুক্ত করতে আইএনটিটিইউসির (INTTUC) ইউনিয়ন অফিস পুরসভার মার্কেট কমপ্লেক্সে (Market Complex) স্থানান্তরিত করে দেওয়া হল। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মাথাভাঙ্গায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে কোনও আলোচনা না করে এবং দলীয় নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ইউনিয়ন অফিস সেখান থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগেই এদিন বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
মাথাভাঙ্গা শহরের চৌপথি সংলগ্ন ইমিগ্রেশন রোডের ধারের এই সরকারি জমিতে বাম আমলেই সিটুর একটি ইউনিয়ন অফিস তৈরি হয়। তারপর ২০১১ সালে পালাবদলের পর সেই অফিসের দখল নেয় আইএনটিটিইউসি। ইউনিয়ন অফিসের পেছনের জমির মালিক সত্যেন্দ্র বর্মন তাঁর জমিতে নির্মাণকার্য শুরু করার জন্য আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব ও পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে তার জমির সামনে থেকে ইউনিয়ন অফিসটি তুলে দেয়। এরপর পুরসভার পক্ষ থেকে মাথাভাঙ্গা অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন পুরসভার কমপ্লেক্সে সেই ইউনিয়ন অফিসটি স্থানান্তরিত করা হয়। এব্যাপারে আইএনটিটিইউসি কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, “মাথাভাঙ্গা শহর জবরদখল মুক্ত করতে মহকুমা প্রশাসন এবং পুরসভা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই ইউনিয়ন অফিসটি পুরসভার মার্কেট কমপ্লেক্সের স্থানান্তরিত করে ওই জায়গা দখল মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।” মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিককে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “মাথাভাঙ্গা শহর জবরদখল মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অনেকদিন আগেই। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই ফুটপাতের বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটি ইউনিয়ন অফিস সরিয়ে নিয়েছে আরেকটি ইউনিয়ন অফিস রয়েছে। তাঁদেরকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পুরসভার শর্ত মেনে পুরসভার মার্কেট কমপ্লেক্সের ঘর নেওয়ার।”
এদিকে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে কোন আলোচনা না করে এবং দলীয় নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ইউনিয়ন অফিস সেখান থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে শুক্রবার সেখানে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা। মাথাভাঙ্গা শহর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি সঞ্জয় কুমার বর্মন বলেন, “জবরদখল উচ্ছেদ করতে হলে শহরের সমস্ত জবরদখল উচ্ছেদ করতে হবে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে। কোনও ব্যক্তি বিশেষের সুবিধার্থে যখন বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে নেওয়া হয় তখন তো সন্দেহ হবেই।” বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি, পুরসভা সমস্ত জবরদখল উচ্ছেদ না করে কেন বেছে বেছে বেআইনি নির্মাণ তুলছে এবং সেক্ষেত্রে যে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠছে তা স্পষ্ট না করলে তাঁরা গণ ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন।