উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘরের মাঠে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই ২১০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় লখনউকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই জয়ের অন্যতম কুশীলব মার্কাস স্টইনিস।
রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অনবদ্য শতরানে ঘরে মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ২১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল চেন্নাই সুপার কিংস। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দিলেন শিবম দুবে। চিপকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে চেন্নাই সুপার কিংস। অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন রুতুরাজ। রাহানে ১ রানে আউট হলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন গায়কোয়াড়। এই ম্যাচে দলে ফেরা চেন্নাইয়ের ড্যারিল মিচেলও রান পাননি। ১১ রান করে যশ ঠাকুরের বলে ফেরেন তিনি। চার নম্বরে নেমে রবীন্দ্র জাদেজা ১৬ রান করেন।
এদিন ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন রুতুরাজ। জাদেজা আউট হওয়ার পরে শিবম মাঠে নামেন। যশকে এক ওভারে পর পর তিনটি ছক্কা মারেন শিবম। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ১৬০-৭০ রানের বেশি হবে না চেন্নাইয়ের। কিন্তু রুতুরাজ ও শিবমের জুটি এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় শতরান করেন রুতু। ২০০ রানের বেশি করার লক্ষ্য নিয়ে খেলছিলেন দুই ব্যাটার।
এরই ফাঁকে ২২ বলে অর্ধশতরান করেন শিবম। তিনিও কোনও বোলারকে রেয়াত করছিলেন না। ২৭ বলে ৬৬ রান করে রান আউট হন শিবম। শেষ দু’বলের জন্য ব্যাট করতে নামেন ধোনি। কিন্তু স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন রুতুরাজ। শেষ বলে ব্যাট করার সুযোগ পান ধোনি। চার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করে চেন্নাই। রুতুরাজ ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
২১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুইন্টনের উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল লখনউ। তিন নম্বরে নামেন মার্কাস স্টইনিস। ৬৩ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন মার্কাস স্টইনিস। শেষ পাঁচ ওভারে লখনউ এর প্রয়োজন ছিল ৭৪ রান। ক্রিজে মার্কাস স্টইনিসের সঙ্গে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন নিকোলাস পুরান। ১৬তম ওভারে শার্দূল ঠাকুরের ওভারে প্রথম ৫ বলে ১৯ রান যোগ করেন পুরান। ফলে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। বাকি ৪ ওভারে ৫৪ রান কঠিন ছিল না। ম্যাচের ১৭ তম ওভারে ১৫ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ম্যাচে ফেরে চেন্নাই সুপার কিংসও। ১৮তম ওভারে ৫৬ বলে কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল সেঞ্চুরি হাঁকান মার্কাস স্টইনিস।
শেষ দু-ওভারে ৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের। তখন লখনউ এর একমাত্র ভরসা ক্রজে থাকা স্টইনিস। ১৯তম ওভারে ১৫ রান ওঠে। শেষ ওভারে ১৭ রানের টার্গেট লখনউয়ের। ছয় মেরে মুস্তাফিজুরকে স্বাগত জানান স্টইনিস। আর পিছন ফিরে তাকাননি। ৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। চিপকের মাঠে রান তাড়ায় সবচেয়ে বড় স্কোরের রেকর্ড এখন স্টইনিসের দখলে। মিস ফিল্ডিংয়েরও খেসারত দিতে হল চেন্নাইকে।