শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: রবিবারের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (Educational institution)। এর মধ্যে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৩২টি। হাই স্কুল, শিশুশিক্ষাকেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি রয়েছে যথাক্রমে ৮, ২ ও ১টি। ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলি ওই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া ময়নাগুড়ি সাউথ সার্কেল, ময়নাগুড়ি সার্কেল, সদর নর্থ সার্কেলের অন্তর্গত। রয়েছে রাজগঞ্জ পশ্চিম সার্কেলেরও একাধিক স্কুল। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।’
ঝড়ের (Storm) প্রকোপ এতটাই ছিল যে কোথাও স্কুলগুলির জলের ট্যাংক, মিড-ডে মিলের রান্নাঘরের চাল, আবার কোথাও গোটা স্কুলের টিনের ছাউনিই খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি স্কুলের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে ক্লাসরুম। ময়নাগুড়ি সাউথ সার্কেলের পদমতি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হেলাপাকড়ি এলাকার ডাঙ্গাপাড়া জুনিয়ার বেসিক স্কুলটির পরিস্থিতি বর্তমানে এমনই, সেখানে আর পড়ুয়াদের বসিয়ে পড়ানো সম্ভব নয়। গোটা স্কুল ভবনই ভেঙে গিয়েছে। ময়নাগুড়ির ডোমারহাট বোর্ড ফ্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচালয়ের অস্তিত্ব মুছে গিয়েছে। পানীয় জলের সংযোগের পাইপলাইন ভেঙে গিয়েছে। সদর নর্থ সার্কেলের জমাদারপাড়া এসসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। ডেঙ্গুয়াঝার নিউ টিজি প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্নাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন আবহে একা ঝড়ে রক্ষে নেই। দোসর হয়েছে হাতির হামলাও। রবিবার রাতে রাজগঞ্জ পশ্চিম সার্কেলের অন্তর্গত ছোট ফাপড়ি নেপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গুঁড়িয়ে দেয় একটি দলছুট দাঁতাল। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাতে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে জেলার প্রশাসনিক ও শিক্ষাকর্তাদের একটি বৈঠক হয়।