শুভ দত্ত, বানারহাট: বানারহাটে জন বারলার সেই বহুতল ভবনকে ঘিরে বিতর্ক বড় কম নয়। সরকারি জমি দখল করে নাকি সেই ভবন বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে সেই ভবন নিয়ে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। বরং এতদিন সেখানে জাঁকিয়ে চলেছে বিজেপির পার্টি অফিস। তবে আর নয়। নিজের বহুতলে এবার বিজেপির নেতা-কর্মীদের ঢুকতে নিষেধ করে দিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। লোকসভা ভোটের মুখে বানারহাটে বিজেপির পার্টি অফিসের দরজা বন্ধ। নির্বাচনি কাজ সামলানোর জন্য স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এখন নতুন কোনও ঠিকানা খুঁজছে। বন্ধ কেন? বারলা কিন্তু কিছুই বলছেন না।
এক সময়ে বারলার এই বহুতলে থাকা পার্টি অফিসে বড় করে মোদির ছবি টাঙানো থাকত। তবে সেই মোদির জনসভাতেই তো তিনি যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিট না পেয়ে বেজায় চটেছিলেন বারলা। দলের প্রার্থী মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়ার প্রচারও শুরু করেছিলেন। মাঝে সুর নরম হয়েছিল তাঁর। মনে করা হচ্ছিল বিষয়টি মিটে গিয়েছে। কিন্তু বারলা আবার বেঁকে বসেছেন।
এর আগে সরকারি জমি দখল করে ভবন বানাবার অভিযোগ ওঠার পর যেভাবে রাতারাতি সেই ভবন পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছিল, এখনও আবার রাতারাতি সেখান থেকে দলের পোস্টার ইত্যাদি সরে গিয়েছে। বিজেপির উত্তর-পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি বিষ্ণু মাহালি বলেন, ‘বর্তমানে বানারহাটে বিজেপির কোনও দলীয় কার্যালয় নেই। জনদার যে পার্টি অফিস ছিল ২৮ মে থেকে সেটি বন্ধ আছে।’ কেন? বিষ্ণুর সরাসরি জবাব, ‘জনদা নির্বাচনে টিকিট পাননি। তাই আমাদের বলেছেন, তাঁর ভবনে আমাদের কোনও মিটিং হবে না।’ একই কথা দলের আরেক নেতা পুলক কুজুরেরও।
খালি কি পার্টি অফিস বন্ধ? সূত্র বলছে, বারলা কী করছেন, কোন দিকে ঝুঁকছেন, সেসব কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। রাত হলে প্রচারে নামছেন বারলার অনুগামীরা। সে প্রচারও কিন্তু মনোজের হয়ে নয়।