উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ডায়াবেটিস হলেই রোগীরা চিন্তায় পড়ে যান। তাঁরা শুধু ভাবতে থাকেন যে কীভাবে রক্তে চিনির পরিমাণ কম করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক নিয়ন্ত্রণ থাকে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মিষ্টি স্বাদের ফলও খেতে বারণ করা হয়। আবার একেবারে কোনও ফল না খেলেও পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। কারণ ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। যদিও ফলে যে চিনি থাকে তা প্রাকৃতিক এবং এতে বিশেষ ক্ষতি হয় না। সারা বছর ডায়েটে পেয়ারা রাখার উপকার অনেক। জানুন, কেন রোজের ডায়েটে রাখবেন পেয়ারা?
১) পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শুনেই অবাক হচ্ছেন তো? অনেকে কমলালেবু কিনতেই ব্যস্ত শুধু মাত্র ভিটামিন সি-র টানে। কিন্তু পেয়ারায় ভিটামিন সি কোনও অংশে কম থাকে না। সেই সঙ্গে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। শীতকালে সংক্রমণ ঠেকাতে ও প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে কাজে লাগে পেয়ারা।
২) ডায়াবেটিক রোগীরা কী ফল খাবেন আর কী খাবেন না, সেই নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজে লাগে পেয়ারা। পেয়ারায় যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হয়। তাই ডায়াবেটিকরা রোজ এই ফল খেতে পারেন।
৩) পেয়ারায় লাইকোপিন নামক ফাইটোনিউট্রিয়ান্ট থাকে। এই যৌগের অ্যান্টি-টিউমার গুণাগুণ ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে।
৪) পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। সে কারণে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার।
৫) পেয়ারায় রয়েছে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। পেটের গোলমালের সময়ে তা সাহায্য করতে পারে জীবাণুর সঙ্গে লড়তে। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা নিয়মিত পাকা পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় থাকা ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।