হরিশ্চন্দ্রপুরঃ শিয়রে লোকসভা ভোট। সব প্রার্থী জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। রবিবার হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের একাধিক জায়গায় প্রচার সারেন মালদা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। বিজেপি প্রার্থীকে সামনে পেয়ে অনেক ভোটারকেই দেখা গিয়েছে অভাব অভিযোগ জানাতে। এদেরই মধ্যে একজন কুইল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা দীপক সিং।
এদিন কুইল পাড়া গ্রামে সভা চলাকালীন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বিজেপি কর্মী দীপক সিং খগেন মুর্মুর সামনে এসে হাতজোড় করে তার প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সার্টিফিকেট করে দেওয়ার আবেদন জানান। বিজেপি কর্মীর অভিযোগ জন্ম থেকে তিনি প্রতিবন্ধী। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনিক কর্তা কেউ তার এই প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে খগেন মুর্মুর কাছে দরবার করলেন। প্রত্যুত্তরে খগেন মুর্মু জানান, যেহেতু নির্বাচনী বিধি চলছে তাই সেটা ভোটের পরেই করা সম্ভব।
এদিন, তুলসীহাটা অঞ্চলের একাধিক গ্রামে প্রচার চালানোর সময় খগেন মুর্মু বলেন, “শাসক দলের প্রাক্তন পুলিশকর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। ভারতবর্ষের কোথাও কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে তৃণমূলের প্রার্থী সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ভাড়া করা ফুটবলারের সঙ্গে তুলনা করেন। ভাড়া করা ফুটবল প্লেয়ার যেমন বাইরে গিয়ে খেপ খেলেন, তেমনি শাসক দল এলাকায় ওই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে ভোটের ময়দানে খেপ খেলাতে নিয়ে এসেছে। তাছাড়া ওই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা মালদায় থাকাকালীন প্রচুর মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন সাধারণ মানুষকে। তাছাড়া উনি ভোট প্রচার করতে এসে কথায় কথায় হুমকি দিচ্ছেন। এটা মানুষ কখনোই ভালোভাবে নিচ্ছেন না।
যদিও খগেনের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন শাসক দল। এলাকার শাসক দলের জেলা পরিষদ সদস্য তথা ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুন বলেন, “উনিতো পরিযায়ী সাংসদ, তাই ওনার মুখে এসব কথা মানায় না। করোনা পরিস্থিতিতে ওনাকে এলাকায় দেখা যায়নি। সংসদ উন্নয়ন তহবিলে কাজ এলাকায় তিনি দেখাতে পারবেন না। এখন ভোটের সময় এসে উনি বড় বড় কথা বলছেন।”