উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সবসময়েই চুল পড়ার প্রবণতা থাকে। দামি দামি প্রসাধনী বা ঘরোয়া পদ্ধতিতেও তা মাঝেমধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। চুল পড়ার সমস্যা যেন জীবনেরই একটা অংশ। তবে চুলের যত্নের জন্য শ্যাম্পু বা অন্যান্য জিনিসে বেশি নজর দিতে গিয়ে আসল জিনিসেই আমাদের নজর দেওয়া হয় না। যেমন- চিরুনি। চিরুনি চুলের ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর চুল পেতে মাথার ত্বক অনুযায়ী চিরুনিরও বিভিন্ন ধরণ রয়েছে।
কত ধরণের হয় চিরুনি? আসুন জেনে নিই…
১. সাধারণ চিরুনি- চুল শুকনো থাকলে সাধারণ চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালেই কাজ হয়। এই ধরনের চিরুনিতে দুটি ভাগ থাকে। প্রথম ভাগে থাকে বড় বড় দাঁত এবং পরের ভাগে থাকে তুলনামূলক সরু দাঁত। শিশুদের চুল আঁচড়াতেও এই ধরনের চিরুনি ব্যবহার করা যায়।
২. প্যাডেল ব্রাশ- লম্বা চুল জটমুক্ত করতে এই ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের চিরুনির দাঁতগুলি একটি লাইনে সাজানো থাকে না। দাঁতের মুখে ছোট ছোট বিন্দু থাকে। যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনেও বিশেষভাবে সাহায্য করে।
৩. বড় দাঁতের চিরুনি- এই ধরনের চিরুনির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মাত্র বড় বড় দাঁত থাকে। ঘন চুল আঁচড়াতে এই ধরনের চিরুনি ব্যবহার করাই ভাল। এ ছাড়াও ভিজে চুল জটমুক্ত করতেও এই চিরুনি ব্যবহার করা হয়।
৪. টেল কম্ব- বাইরে চুল আঁচড়ানোর জন্য অনেক সময়ে পকেটে বা ব্যাগে ছোট চিরুনি রাখেন। সে রকম ছোট সাধারণ চিরুনির মতোই দেখতে এই বিশেষ চিরুনিটির পিছনে শুধু লেজের মতো সরু একটি কাঠি থাকে। চুলের নানা রকম কেরামতি করতে গেলে, সিঁথি কাটতে হয়। তখন এই চিরুনি কাজে লাগে।
৫. ভেন্টেড এয়ার ব্রাশ- চুলের কারুকাজ করতে অনেক সময়েই চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়। এই ড্রায়ার দিয়ে চুল সেট করার সময়ে এক ধরনের বিশেষ ব্রাশ ব্যবহার করা হয়, যাতে চুল জটমুক্ত থাকে এবং ড্রায়ারের হাওয়া চুলের মধ্যে দিয়ে সহজে যাতায়াত করতে পারে।