রাজু সাহা, শামুকতলা: মাধ্যমিক (Secondary) এবং উচ্চমাধ্যমিকের (Higher secondary) জন্য নীচু ক্লাসের পড়াশোনায় কোনওভাবেই ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। সেজন্য মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বেলা দুটো থেকে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করল মহাকালগুড়ি হাইস্কুল ( Mahakalguri mission high school)। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়েও বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিদিনই মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ওই স্কুলে এসে পড়ুয়ারা ক্লাস করছে। ক্লাস হচ্ছে মাঠের মধ্যে গাছের ছায়ায়। ছাত্রছাত্রীরা ওই ক্লাসে ভীষণ মজা পাচ্ছে বলেই শিক্ষকদের দাবি।
শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়াশোনার মান বজায় রাখতে ওই ক্লাসে শামিল হচ্ছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিরণ বসুমাতা জানান, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা টানা এক মাস ধরে চলবে। পরীক্ষার সময় ক্লাসরুমে পরীক্ষার ডিউটিরত শিক্ষকরা ও পরীক্ষার্থীরা ছাড়া কেউই বিদ্যালয়ের ভিতর ঢুকতে পারেন না। প্রতিটি বেঞ্চে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের নম্বর বসানো থাকে। এছাড়াও একাধিক নিয়মের জন্য বহিরাগতদের ভেতরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই এক মাস পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস বন্ধ রেখেই পরীক্ষা নেওয়ার সরকারি নির্দেশ ছিল। কিন্তু এবার পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। তাই, পরীক্ষা শেষে অনেকটা সময় থাকছে। এরপরই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওই সময় অন্য ক্লাসগুলির পড়ুয়াদের পড়াশোনার ঘাটতি মেটাতে ক্লাস নেওয়া হবে। সবাই বিষয়টি খুব ভালোভাবেই নিয়েছে। তাই, যেদিন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই এই বিশেষ ক্লাস শুরু হয়েছে। এজন্য স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ধন্যবাদ।
মহাকালগুড়ি মিশন হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সোহম দেবনাথ, আরিয়ান বসুমাতা জানায়, প্রথমে আমাদের স্কুল থেকে বলা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ২ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে। কিন্তু এরপরেই প্রধান শিক্ষক নোটিশ দিয়ে জানান, পরীক্ষার সময় সহ রোজ বেলা দুটো থেকে ক্লাস চলবে। আমরা মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেও তাই দৈনিক স্কুলে গিয়ে ক্লাস করছি। এতে আমাদের পড়াশোনার ঘাটতি অনেকটাই কমবে।
ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ বসুমাতা জানান, প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে এমন বিশেষ ক্লাস শুরু করতে পেরে খুব আনন্দিত। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ঘাটতি মেটাতে খুব ভালো উদ্যোগ।
ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অদীপ্ত দাস জানায়, টানা এক মাস ক্লাস বন্ধ থাকলে আমাদের পড়াশোনায় অনেক ঘাটতির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষকরা প্রতিদিন স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করায় আমাদের সেই ঘাটতি আর থাকছে না। প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে খুব ভালো লাগছে।