নিউজ ব্যুরো: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার আকোলা এবং শেভগাঁও এলাকা। হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ কর্মী এবং আরও ১৩ জন। হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে ১৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গুজব ছড়ানো ঠেকাতে আকোলা এবং শেভগাঁওয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
জারি করা হয়েছে কার্ফিউ। হিংসার পিছনে যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোমবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করা হয়েছিল সংখ্যালঘু কোনও সংগঠনের তরফে। এই পোস্টকে কেন্দ্র করেই শনিবার রাতে আকোলার সংবেদনশীল ওল্ড সিটি এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রামদাসপেঠ থানা ঘেরাও করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। আকোলার ওল্ড সিটি থানার সামনেও ভিড় জমতে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। উন্মত্ত জনতা দোকানপাট, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হিংসার মাঝে পড়ে বিলাস গায়কোড়ে (৪০) নামে ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। চলে দেদার পাথরবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। হিংসা রুখতে সোমবার আকোলা, শেভগাঁও সহ একাধিক এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।