উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চোটের কারণে কথা থাকলেও সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুরে সভা করতে যেতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে বার্তা দেন তিনি। এদিন বৈঠকে মমতার কথাতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রতর অভাব অনুভব করছে দল।
গোরুপাচার মামলায় গত এক বছর ধরে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। গত বছরের অগাস্টে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। পরে গ্রেপ্তার করে ইডি। আপাতত অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁর কন্য সুকন্যা মণ্ডলও। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল যে অনুব্রতর অভাব অনুভব করছে, তা মমতার কথাতেই স্পষ্ট। বীরভূমের তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তথা ভোটারদের উদ্দেশে কয়েকটি কথা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানান, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আর বীরভূমে আসা সম্ভব হচ্ছে না তাঁর পক্ষে। তবে ভোটপর্ব মিটলে অবশ্যই আসবেন।
মমতার কথায়, ‘কেষ্ট আজকে নেই। কিন্তু কেষ্ট আমাদের সবার ঘরের ছেলে। ওকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মহারাষ্ট্র দেখলেন? বিজেপি (দল) না করলে কোটি কোটি টাকা কোরাপশনে (দুর্নীতি) জড়িত হবেন। আর তাঁরাই যখন বিজেপিতে যাচ্ছেন, তখন সেটা বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাদা হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী যে কোনও পার্টি করলে তাকে ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।’
এদিন বগটুই-কাণ্ডের কথাও তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘ঘরবাড়ি থেকে চাকরি দেওয়া সবটাই করেছি। মানুষ বিপদে পড়লে তার পাশে দাঁড়়ানো আমাদের কাজ। আমরা সেটা করব।’ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমের মানুষের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘খুব শীঘ্রই ডেউচা-পাচামি প্রকল্প শুরু হয়ে যাবে। তাতে লক্ষাধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে।’