উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত ‘চাঁদের পাহাড়’-এর শঙ্কর আফ্রিকার জঙ্গল থেকে ফিরলেও বাস্তবের শঙ্কর জীবন যুদ্ধে জিতে ফিরতে পারল না। বার বার বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন পেশায় মৃৎশিল্পী শঙ্কর পাল। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর হরিপুর পালপাড়া এলাকায়। এদিন সকালে শোবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, বিয়ে হবো হবো করেও হচ্ছিল না। অনেক চেষ্টা করেও কোনও লাভ হচ্ছিল না। বারবার নানা সম্বন্ধ দেখা হচ্ছিল। সেটা বিয়ের মণ্ডপ পর্যন্ত গড়াচ্ছিল না। সেগুলি ভেঙে যাচ্ছিল। বন্ধুরাও রসিকতা করে গান গাইত, ‘বাবা আমার কি বিয়ে হবে না’। আসলে এই পাত্র ভাল হলেও পাত্রীদের তা পছন্দ নয়। অনুমান করা হচ্ছিল শঙ্করের ‘চেহারা খারাপ’ থাকার কারণে পাত্রীদের অমতেই বারবার বিয়ে ভেঙে যাচ্ছিল। বিয়ে ঠিক হয়েও মোট ৬ বার বিয়ে ভেঙে গিয়েছে তাঁর। আর সে কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃৎশিল্পী হিসাবে শঙ্কর পাল একাধিক কারখানায় কাজ করতেন। আর্থিক সমস্যা ছিল না তাঁর। স্বভাব–চরিত্রও ভাল ছিল। মেয়ের বাড়ির লোকজনের পছন্দ ছিল পেশায় মৃৎশিল্পী শঙ্কর পালকে। কিন্তু মেয়েদের পছন্দ ছিল না হবু বরকে। ‘চেহারার কারণে’ বিয়েতে আপত্তি ছিল মেয়েদের। এই কথাই বারবার শুনতে হতো যুবক শঙ্করকে। এভাবে টানা ৬ বার বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে গেলে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন ওই যুবক। আজ সকালে শোবার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনা নিয়ে গোটা নদিয়ার শান্তিপুরে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট মহকুমা পুলিশ। পরিবারের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই শঙ্কর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।