মেখলিগঞ্জ: প্রথম শ্রেণির ছাত্রের পোশাকের মাপ দশম শ্রেণির ছাত্রের মতো। আবার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পেয়েছে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীর মাপের পোশাক। তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন পড়ুয়ার স্কুলের পোশাকের কোনওটাতে তিন রকমের কাপড়, আবার কোনওটাতে তার চেয়েও বেশি। প্যান্টের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পা ভিন্ন রংয়ের কাপড় দিয়ে তৈরি। শিক্ষাবর্ষ শেষেও মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj) ব্লকের ৫০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ প্রায় ১৩ হাজার পড়ুয়া স্কুলের পোশাকই পায়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে বড়সড়ো দুর্নীতির।
সরকারি স্কুলের এই পোশাক বিতর্ক নিয়ে উত্তরবঙ্গ সংবাদে খবর প্রকাশিত হয়। এরপরই প্রশাসনের (Administration) তরফে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে যায় মেখলিগঞ্জে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে মেখলিগঞ্জ ব্লকের প্রতিটি স্কুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় কোন স্কুলে কতজন পড়ুয়া স্কুলের পোশাক পায়নি? ব্লক প্রশাসনের তরফে পোশাকের কাজে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের মান নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রশাসনিক কর্তারা। এনিয়ে বিডিও (BDO) অরিন্দম মণ্ডলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এদিন বৈঠক হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।