কলকাতা: খুব কাছে রয়েছে ‘মোকা’। শনিবার কাকভোরে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মায়ানমারের সিত্তে বন্দর থেকে মোকার দূরত্ব ৬৯০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে মোকার দূরত্ব ৭৬০ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করতে করতে এগিয়ে চলেছে মোকা। আরও ৩০ ঘণ্টা পেরোনোর পর রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।
মোকার জেরে একাধিক রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক রাজ্যকে অ্যালার্ট করা হয়েছে আইএমডি’র তরফে। বাংলায় এর প্রভাব কতটা পড়বে? এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল প্রথম থেকেই। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সময় এ রাজ্য থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নেওয়ায় আবহাওয়ায় বিরাট পরিবর্তন আসে। জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহ, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি এবং তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল। তবে স্বস্তির খবর শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এদিন থেকেই হাওয়া বদলের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মোকা মধ্য বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে পৌঁছোনোর আগে তা আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজবে।
এদিন থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের মালদা, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিংয়ে। ১৪ এবং ১৫ তারিখ থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আগামী তিনদিন দুই বঙ্গেই তাপমাত্রা নতুন করে বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। এদিকে মোকার আগাম সতর্কতা হিসেবে এদিন সকাল থেকেই সুন্দরবনে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকে কুলতলি থানার কৈখালি, মাতলা নদীতে এনডিআরএফের তরফে মকড্রিল করা হয়। প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে দিঘা উপকূলেও। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।