রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: নতুন ভবনের আশায় পুরোনোটা তো ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নতুন ভবন আর হচ্ছে না। কার্যত বিশবাঁও জলে শিলিগুড়িতে (Siliguri) নতুন আদালত ভবন নির্মাণের কাজ। কাজ কবে শুরু হবে, এই প্রশ্ন শোনার পরও তা এড়িয়ে চলে গেলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। যা নিয়ে শিলিগুড়ির আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিলিগুড়ির আইনজীবীরা। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক অলোক ধাড়ার বক্তব্য, ‘তাঁর নেতৃত্বেই আমাদের আদালত ভবন ভাঙা হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন সব সমস্যা মিটে গিয়েছে, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। কিন্তু এখনও কাজ শুরু হল না। রাজ্য সরকারের কোথায় সমস্যা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না।’
শিলিগুড়ি আদালত (Siliguri court) চত্বরে নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছে। একাধিকবার আইনমন্ত্রী থেকে শুরু করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এসে এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। আদালত ভবন তৈরির জন্যে টাকাও বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। জমির সমস্যা মেটানো হয়েছে। এর পাশাপাশি নতুন ভবনের প্ল্যান তৈরি করে মুখ্য আর্কিটেক্টের মাধ্যমে আইন দপ্তরের সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি)। কিন্তু এরপরেও কোনও অজ্ঞাত কারণে শিলিগুড়িতে আদালত ভবন নির্মাণের কাজ থমকে রয়েছে।
সোমবার শিলিগুড়িতে শ্রম দপ্তরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে শিলিগুড়ির আদালত ভবন নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্ন শুনতেই তিনি প্রথমে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন। এরপর গাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করেন। হাঁটতে হাঁটতেই তাঁর বক্তব্য, ‘ওটা হাইকোর্টের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে।’
এই আদালত ভবন নির্মাণের দাবি নিয়ে শিলিগুড়ির বার অ্যাসোসিয়েশন একাধিকবার আন্দোলন করেছে। কর্মবিরতিও করেছেন তারা। এরপর যতবারই আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা হয় ততবারই শুধুই প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। কিন্তু কবে কাজ শুরু হবে তা নিয়ে এখনও সঠিক কোনও উত্তর পাননি আইনজীবীরা।