শিলিগুড়ি: নিবেদিতা মার্কেটে জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ শাহিদকে নিয়ে শনিবার দিনভর নাটক চলল। মৃত রুকসানা খাতুনের পরিবার সকাল থেকেই অভিযুক্তকে নিজেদের হাতে নেওয়ার জন্য দৌড়ে বেড়ায়। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, নিরাপত্তার স্বার্থে শাহিদকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের এজলাসে না তুলেই শুনানি চালানো হয়। সকালেই রুকসানার পরিবারের সদস্যরা শিলিগুড়ি থানা চত্বরে যান। পুলিশ তাঁদের কোনওভাবে বুঝিয়ে বাইরে বের করে দেয়। এরপর থানার মূল গেট বন্ধ রেখে মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসিপি (ইস্ট-১) অফিসে ঢোকার গেট দিয়ে পুলিশের গাড়ি শাহিদকে নিয়ে বের হয়। রুকসানার পরিবার আদালত চত্বরেও পৌঁছে যায়। গাড়ি সেখানে পৌঁছাতেই রুকসানার আত্মীয়রা শাহিদকে গাড়ির ভেতর থেকেই টেনে ধরার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহিদের স্ত্রী সখিনাকে এদিন ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এদিন তাঁর কাছ থেকে গোপন জবানবন্দি নেয়। এদিকে, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও শাহিদের মনে কোনও অনুতাপ নেই। উলটে থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সে বলে, ‘সখিনা আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওকে আবার মারব।’ সখিনার আত্মীয় মহম্মদ হাসিবুল শাহিদের দাবি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের ঘটনায় শাহিদ মূলত সখিনাকেই টার্গেট করেছিল। শাশুড়ি রুকসানা বাধা দেওয়ায় শাহিদ তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। এদিন পুলিশ শাহিদকে পাঁচ দিনের হেপাজতে নেয়।
হাসিবুলরা এদিন সকালেই শিলিগুড়ি থানায় যান। পুলিশ শাহিদকে গাড়িতে তুলে ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় হালিমা খাতুন, মহম্মদ সুকুররা পিছন পিছন দৌড়ান। পরে তাঁরা আদালত চত্বরে যান। শাহিদকে গাড়ি থেকে টেনে বের করার চেষ্টা হয়। রুকসানার পরিবারপক্ষের আইনজীবী ঋষভ কেশরী বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে শাহিদকে এজলাসে তোলা হয়নি।’