ময়নাগুড়ি: মা ও ছেলের রহস্যমৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ময়নাগুড়ি শহরে। খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। মৃতদের বাড়ি, ধানখেতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা সবকিছু খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করেছেন। পরিমল বর্মনের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। প্রাথমিকভাবে এটাকে জোড়া খুনের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। মৃতদের পরিবার এলাকায় বিত্তশালী বলেই পরিচিত। খুনের পেছনে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয় রয়েছে কিনা এসব নিয়েও স্থানীয় মহলে চর্চা চলছে। অনেকেরই বক্তব্য, এটা পুরোপুরি ঠান্ডা মাথার খুন। যেভাবে দেহ দুটি পড়েছিল, তা দেখে অনুমান এই ঘটনায় কোনও পূর্ব পরিচিতর হাত থেকে থাকতে পারে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ।
ময়নাগুড়ি শহরে মা ও ছেলের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সাতসকালে এমন ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃতদের নাম সবিতা বর্মন (৬৫) এবং ছেলে পরিমল বর্মন (৪৫)। এদিন সকালে ঘরের ভেতর থেকে সবিতাদেবীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিমলবাবুর নিথর দেহ পড়েছিল বাড়ি থেকে পঞ্চাশ মিটার দূরে পাকা রাস্তার ধারে ধানখেতে। তিনি হোমগার্ডের চাকরি করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্থানীয় কয়েকজন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে পাকা রাস্তার ধারে ধানখেতে পরিমল বর্মনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই এলাকাটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ প্রথমে ধানখেত থেকে পরিমলবাবুর দেহ উদ্ধার করে। এরপর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরের তাঁর বাড়িতে এসে পুলিশ দেখে, ঘরের সমস্ত দরজা খোলা। আর ভেতরের সমস্ত আসবাবপত্র, বিছানা তছনছ করা। পরিমলবাবুর মা সবিতা বর্মনের দেহ ঘরের মেঝেতে বসানো ছিল। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় মানুষের ভিড় জমে যায়।
এবিষয়ে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কল্যাণ সাহা বলেন, ‘স্থানীয়দের থেকে জানতে পেরেছি, তাঁদের কেউ কেউ সোমবার রাত আটটার সময় পরিমলবাবুকে মাছ ধরতে দেখেছেন ধানখেতের পাশে। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয়রা পরিমলবাবুর দেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।’
১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তুহিন চৌধুরী বলেন, ‘রহস্যজনক ঘটনা।’ শ্যামল নন্দী সহ পরিমলবাবুদের প্রতিবেশীরা সকলেই গোটা ঘটনায় ভীষণ অবাক। স্থানীয়দের অনুমান, এটা জোড়া খুনের ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।