বাণীব্রত চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: মা ও ছেলের রহস্যমৃত্যু ময়নাগুড়িতে। সাতসকালে এমন ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃতদের নাম সবিতা বর্মন (৬৫) এবং ছেলে পরিমল বর্মন (৪৫)। মঙ্গলবার সকালে ঘরের ভেতর থেকে সবিতাদেবীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিমলবাবুর নিথর দেহ পড়েছিল বাড়ি থেকে পঞ্চাশ মিটার দূরে পাকা রাস্তার ধারে ধানখেতে। তিনি হোমগার্ডের চাকরি করতেন। স্থানীয়দের অনুমান, এটা জোড়া খুনের ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্থানীয় কয়েকজন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে পাকা রাস্তার ধারে ধানখেতে পরিমল বর্মনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই এলাকাটি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ প্রথমে ধানখেত থেকে পরিমলবাবুর দেহ উদ্ধার করে। এরপর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরের তাঁর বাড়িতে এসে পুলিশ দেখে, ঘরের সমস্ত দরজা খোলা। আর ভেতরের সমস্ত আসবাবপত্র, বিছানা তছনছ করা। পরিমলবাবুর মা সবিতা বর্মনের দেহ ঘরের মেঝেতে বসা অবস্থায় ছিল। খবর জানা জানি হতেই এলাকায় মানুষের ভিড় জমে যায়।
এবিষয়ে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কল্যাণ সাহা বলেন, ‘স্থানীয়দের থেকে জানতে পেরেছি, তাঁদের কেউ কেউ সোমবার রাত আটটার সময় পরিমলবাবুকে মাছ ধরতে দেখেছেন ধানখেতের পাশে। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয়রা পরিমলবাবুর দেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।’ ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তুহিন চৌধুরী বলেন, ‘রহস্যজনক ঘটনা।’ শ্যামল নন্দী সহ পরিমলবাবুদের প্রতিবেশীরা সকলেই গোটা ঘটনায় ভীষণ অবাক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।