মালদা: রাস্তার শিলান্যাস নিয়ে চাঁচলে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জানা গিয়েছে, চাঁচল ১ ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেহেরালি মোড় থেকে আনোয়ার হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১.২ কিলোমিটার রাস্তা ঢালাইয়ের জন্য প্রায় এক কোটি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। সেই রাস্তারই শিলান্যাস করেন চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। বিধায়ক ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ব্লক এবং অঞ্চলস্তরের বেশ কিছু নেতা। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না জেলা পরিষদের কোনও প্রতিনিধি। আর এনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কার তত্ত্বাবধানে হচ্ছে রাস্তার কাজ? কৃতিত্ব কার? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতির দাবি, রাজ্য সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বরাদ্দ অর্থে রাস্তার শিলান্যাস হবে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে। কারণ এই রাস্তার কাজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল জেলা পরিষদের তরফে। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে শিলান্যাস অনুষ্ঠান হচ্ছে বিধায়কের তত্ত্বাবধানে। এই অভিযোগে তুলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এবং স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্যা। ঘটনাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
জেলা পরিষদের সহকারী সভাপতি এটিএম রফিকুল হোসেন এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই শিলান্যাস অনুষ্ঠান জেলা পরিষদের করার কথা। সেখানে বিধায়ককে ডাকা হবে অবশ্যই। কিন্তু এখানে বিধায়ক নিজেই শিলান্যাস করে দিলেন। বিধায়ক যেটা করলেন এটা কাম্য নয়। এভাবে শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয় না।”
স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্যা সাইরা বানুর স্বামী তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, “আমি রাস্তার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি এবং সঙ্গে বিধায়ককে ডেকে এই অনুষ্ঠান করব। এভাবে শিলান্যাস করায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হল।”
যদিও বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বক্তব্য, চলতি বছরের জুন মাসে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের প্রমাণ করতে হবে প্রস্তাব কে দিয়েছিল। বিধায়কের সাফাই, এখানে জনগণের কাজ হচ্ছে। এটাই মূল কথা। বিধায়ক এমনটা বললেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গোটা ঘটনায় চাঁচলে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলই প্রকাশ্যে এল।